You are currently viewing কোরআন মুহাম্মদের বাণী, আল্লাহর নয়

কোরআন মুহাম্মদের বাণী, আল্লাহর নয়

  • Post author:
  • Post last modified:April 24, 2022

ল্লাহর নাম ব্যবহার করে ভন্ড নবী মুহাম্মদ তার ফায়দা হাসিল করেছে পুরোদমে। আজকেও তার রেশ রয়ে  গেছে তার উম্মতদের জীবনে। তারা চোখ, কান বন্ধ করে গিলে চলেছে মুহাম্মদের যুগন্তকারী বাণীসমূহ। আমি নির্দ্ধিধায় বলতে পারি যে, কোরআন আল্লাহর বাণী নয়। এটা মুহাম্মদের বাণী যা আল্লাহর নামে সে চালিয়েছে সাধারণ ধর্মপরায়ণ মানুষের কাছে। বিশ্বাস হচ্ছে না আমার কথায়? তবে চলুন একটু পর্যালোচনা করে দেখি।

۞ وَقَالَ ٱللَّهُ لَا تَتَّخِذُوٓا۟ إِلَـٰهَيْنِ ٱثْنَيْنِ ۖ إِنَّمَا هُوَ إِلَـٰهٌ وَٰحِدٌ ۖ فَإِيَّـٰىَ فَٱرْهَبُونِ (٥١)

সূরা আন্‌-নাহ্‌ল ১৬: ৫১ আয়াত

বাংলা অনুবাদঃ “আর আল্লাহ বলেনঃ তোমরা দুই মা’বুদ গ্রহণ করো না। তিনি তো কেবল একমাত্র মা’বুদ। সুতরাং আমাকেই ভয় করে চলো।”

উল্লেখিত প্রথম তিনটি বাক্য স্পষ্টতঃ প্রকাশ করে এটি আল্লাহর নয় মুহাম্মদের বাক্য যেখানে আল্লাহকে ব্যবহার করা হয়েছে। একজন সাধার‌ণ ব্যক্তির সাধারণ ব্যাকরণগত জ্ঞানের পরিধিতে ব্যাপারটি অতি স্পষ্ট। আর “আল্লাহ বলেন,” কথাটি মুহাম্মদের মুখ থেকে আসা শব্দের সমাহার।

দ্বিতীয়তঃ তোমরা দুই মা’বুদ গ্রহণ করো না। একটু ভেবে দেখুন তো যখন আপনি কালেমা উচ্চারণ করেন তখন কি বলেন? বলেন না “লা ই লা ইল্লাললা মুহাম্মাদুর রসুলুল্লাহ?” “লা ই লা হা ইল্লাললা”- অর্থাৎ আল্লাহর কোন শরীক নেই। কিন্তু পরক্ষণেই আপনি মুহাম্মদকে তাঁর সাথে শরীক করেছেন। অর্থাৎ আপনি শীর্‌ক (গুনাহ্‌) করেছেন। বস্তুতঃ এই কালাম বা এই বাক্যের কোন চিহ্ন আপনি কোরআনে খুঁজে পাবেন না। কারণ, তা নেই কোরআনের পাতায়। তবে কেনো আমরা তা বলে চলেছি এবং আল্লাহর একত্ববাদকে অস্বীকার করে চলেছি সেইসাথে? হয়তো বলবেন গুরুজনেরা শিখিয়েছে সে কথা। তা হয়তো সত্য। কিন্তু আমরা কেন তা পরখ করে দেখবো না?

ব্যাপারটি মুহাম্মদের এক সুনিপুন কৌশল মানুষকে নিজের অনুগত করার, আল্লাহর নামে।

একটু ভেবে দেখুন তো কেনো আল্লাহ তায়ালা কোরআন তার (মুহাম্মদের) হাতে দিয়ে ‍পাঠান নাই? কেনো তার আবির্ভাব হলো তার মৃত্যুর ২১ (একুশ) বছর পরে? কিসের উপর ভিত্তি করে আজ এর সত্যতা যাচাই করতে পারি আমরা? কেনোই বা আবু বকর ও ওমরের কোরআনকে অগ্নিদগ্ধ করতে হয়েছে ওসমানকে? সে আদেশটি কি উপর থেকে এসেছিল? কেনই বা একটি পুস্তক শেষ করতে আল্লাহর ২৩টি বছর লেগেছিলো? তিনি তো নিমিষেই তৈরী করতে পারেন সবকিছু। তিনিতো ছয়দিনে সৃষ্টি করেছেন পৃথিবীকে। এখানেও দেখা যায় জনাব মুহাম্মদের এক অভিনব কারসাজি।

এ ব্যাপারে কেনো প্রশ্ন তুললেই তাকে কাফির আখ্যায়িত করে মুহাম্মদ হত্যা করার বিধান দিয়েছে, তাই কেউ মুখ খুলেনি। আসলে, মুহাম্মদ ২৩ (তেইশ) বছর ধরে একটু একটু করে পূর্ববর্ত্তী কিতাব (তাওরাত, জবুর ও ইজ্ঞিল) থেকে চুরি করেছে আল্লাহর কালামসমূহ আর তা ইতস্ততভাবে এখানে ওখানে সংযোজন করেছে কোরআন নামক তার রোজ নামচাটিতে। এতে রয়েছে ব্যাকারণগত ভূল? ঐতিহাসিক ঘটনার ভ্রান্ত চিত্র আর ভাষার অসংলগ্নতা। একেই সে আল্লাহর বাণী হিসেবে চালিয়ে দিয়ে নিজেকে করে তুলেছে এক উপাস্য ব্যক্তি।

প্রশ্ন থাকতেই পারে কেনো আল্লাহর মানসিক ব্যাধিগ্রস্ত ব্যক্তি যে গুহাতে বসে সময় অতিবাহিত করতো, তার কাছে পাঠাবেন ঐশ্বরিক বাক্য? আর কেউ জানবে না সে কথা? আর যে ব্যক্তি লেখা বা পড়ায় অদক্ষ, সে কিভাবে বুঝতে পারবে এতো বাক্যের সমাহার। কিংবা কিভাবে মনে রাখবে এর আদ্যোপান্ত? তার পক্ষে ভূল করাটা অত্যান্ত সহজ।

এবার যদি সূরা ফাতিহা-র দিকে নজর দেই কি দেখবো আমরা?

بِسْمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحْمَـٰنِ ٱلرَّحِيمِ (١) ٱلْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ ٱلْعَـٰلَمِينَ (٢) ٱلرَّحْمَـٰنِ ٱلرَّحِيمِ (٣) مَـٰلِكِ يَوْمِ ٱلدِّينِ  (٤) إِيَّاكَ نَعْبُدُ وَإِيَّاكَ نَسْتَعِينُ (٥) ٱهْدِنَا ٱلصِّرَٰطَ ٱلْمُسْتَقِيمَ (٦) صِرَٰطَ ٱلَّذِينَ أَنْعَمْتَ عَلَيْهِمْ غَيْرِ ٱلْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلَا ٱلضَّآلِّينَ (٧)

সূরা ফাতিহা ১: ১-৭

বাংলা অনুবাদঃ “পরম করুণাময় দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি। সকল প্রশংসা আল্লাহর- যিনি বিশ্ব জাহানের প্রতিপালক। যিনি পরম করুণাময় দয়ালু। যিনি বিচার দিনের মালিক। আমরা কেবল তোমারই ইবাদত করি এবং তোমার কাছেই সাহায্য চাই। দেখাও আমাদেরকে সরল-সোজা পথ। তাদের পথ, যাদের তুমি নি’আমাত দান করেছ। তাদের পথ নয় যাদের উপর তোমার গযব পড়েছে এবং তাদের পথও নয় যারা পথহারা হয়েছে।”

একটু লক্ষ্য করলেই বোঝা সহজ যে উপরোল্লিখিত আয়াতগুলি মুহাম্মদের কথা, আল্লাহর নয়। কেন আল্লাহকে বলতে হবে- পরম করুণাময় দয়ালু আল্লাহের নামে….? কেনোই বা আল্লাহ বলবেন- “সকল প্রশংসা আল্লাহর যিনি বিশ্ব জাহানের প্রতিপালক?” আর কেনই বা আল্লাহ বলবেন- “আমরা কেবল তোমারই ইবাদত করি, এবং দেখাও আমাদেরকে সরল-সোজা পথ।” ইত্যাদি ইত্যাদি?

এবার দেখুন আরেকটি আয়াতের নমুনা।

رَبِّ هَبْ لِى حُكْمًا وَأَلْحِقْنِى بِٱلصَّـٰلِحِينَ (٨٣) وَٱجْعَل لِّى لِسَانَ صِدْقٍ فِى ٱلْـَٔاخِرِينَ (٨٤) وَٱجْعَلْنِى مِن وَرَثَةِ جَنَّةِ ٱلنَّعِيمِ (٨٥) وَٱغْفِرْ لِأَبِىٓ إِنَّهُۥ كَانَ مِنَ ٱلضَّآلِّينَ (٨٦) 

সূরা আশ্‌-শু’আরা ২৬: ৮৩-৮৬ আয়াত

বাংলা অনুবাদঃ “হে আমার প্রতিপালক! আমাকে জ্ঞান দান করুন এবং আমাকে নেককার লোকদের শামিল করুন। এবং আমার সুনাম জারি রাখুন পরবর্ত্তীকালের লোকদের কাছে। এবং আমাকে জান্নাতুন নাঈম- এর উত্তরাধিকারীদের অর্ন্তভুক্ত করুন। এবং আমার বাবাকে মাফ করুন, কেননা তিনি তো বিপথগামীদের অর্ন্তভুক্ত ছিলেন।”

যদি এটি হয়ে থাকে আল্লাহর বাণী তাহলে তিনি কার কাছে এই ফরিয়াদী আর্তনাদ করেছেন? এ কথাগুলি কি স্পষ্ট নয় যে, এটি মুহাম্মদের বাণী, আকুতি? কিন্তু আমরাতো আরবী উচ্চারণে পাগল তাই বোঝার চেষ্টা করিনা কার বক্তব্য এটি? আর কার বাণী কোরআন বহন করে চলেছে।

দেখুন তবে আরো একটু বিশেষ আয়াত।

وَمَكَرُوا۟ مَكْرًا كُبَّارًا (٢٢)

 সূরা আল-জিন্ন ৭১: ২২ আয়াত

বাংলা অনুবাদঃ “বলুনঃ আল্লাহর শাস্তি থেকে আমাকে কেউই রক্ষা করতে পারবে না এবং তিনি ব্যতিরেকে আমি কোন আশ্রয়ও পাব না।”

কথাটি কি আল্লাহ বলেছেন নাকি মুহাম্মদ বলেছে? দেখুন তো একটু লক্ষ্য করে। কিসের ভয় তার বুকে বাসা বেঁধেছে? প্রতারণার ভয় নিঃসন্দেহে। মানুষকে আল্লাহর বাণীর নামে প্রতারণা করে অবশেষে তার অন্তরে ভয় ডুকেছে আল্লাহর বিচারের। তাই এই মায়াকান্না।

দেখুন তবে পরের আয়াতটি। আর ভেবে দেখুন কথাটি কে বলছে।

۞ وَٱلْمُحْصَنَـٰتُ مِنَ ٱلنِّسَآءِ إِلَّا مَا مَلَكَتْ أَيْمَـٰنُكُمْ ۖ كِتَـٰبَ ٱللَّهِ عَلَيْكُمْ ۚ وَأُحِلَّ لَكُم مَّا وَرَآءَ ذَٰلِكُمْ أَن تَبْتَغُوا۟ بِأَمْوَٰلِكُم مُّحْصِنِينَ غَيْرَ مُسَـٰفِحِينَ ۚ فَمَا ٱسْتَمْتَعْتُم بِهِۦ مِنْهُنَّ فَـَٔاتُوهُنَّ أُجُورَهُنَّ فَرِيضَةً ۚ وَلَا جُنَاحَ عَلَيْكُمْ فِيمَا تَرَٰضَيْتُم بِهِۦ مِنۢ بَعْدِ ٱلْفَرِيضَةِ ۚ إِنَّ ٱللَّهَ كَانَ عَلِيمًا حَكِيمًا (٢٤)

সূরা আন-নিসা ৪: ২৪ আয়াত

বাংলা অনুবাদঃ “সকল সধবা নারীকে তোমাদের জন্য অবৈধ করা হয়েছে, কিন্তু তোমাদের মালিকাধীন যেসব দাসী রয়েছে তাদের অবৈধ করা হয়নি।” এ হল তোমাদের জন্য আল্লাহর নির্দেশ। এদের ছাড়া অন্য সব নারীকে তোমাদের জন্য বৈধ করা হয়েছে এ শর্তে যে, অর্থের বিনিময়ে বিয়ে করার জন্য তোমরা তাদের কামনা করবে, ব্যভিচারের জন্য নয়। বিয়ের মাধ্যমে যে নারীদের তোমরা উপভোগ করেছ তাদের দিয়ে দিবে তাদের ধার্যকৃত মোহর। আর তোমাদের কোন গুনাহ হবে না যদি মোহর ধার্য করার পর কোন বিষয়ে উভয়ে একমত হও। নিশ্চয় আল্লাহ হলেন সর্বজ্ঞ, হিকমাতওয়ালা।”

এবার বুঝুন আল্লাহর বাণী কাকে বলে। এসব কথা মুহাম্মদের, আল্লাহর নয় তা অতি পরিস্কার। আল্লাহ কেনো নারীদের উপর এতো অবিচার করতে যাবেন? তারা কি কোনো পণ্য যে মূল্য পরিশোধ করলেই তাকে ব্যবহার করা যাবে Sex Slaves বা সঙ্গমনের ক্রীতদাস হিসেবে?

আরো একটি আয়াতের বর্ণনা করতে হয় এখানে, যাতে স্পষ্টত হয়েছে আয়াতটি মুহাম্মদের, আল্লাহর নয়।

وَمِنَ ٱلْإِبِلِ ٱثْنَيْنِ وَمِنَ ٱلْبَقَرِ ٱثْنَيْنِ ۗ قُلْ ءَآلذَّكَرَيْنِ حَرَّمَ أَمِ ٱلْأُنثَيَيْنِ أَمَّا ٱشْتَمَلَتْ عَلَيْهِ أَرْحَامُ ٱلْأُنثَيَيْنِ ۖ أَمْ كُنتُمْ شُهَدَآءَ إِذْ وَصَّىٰكُمُ ٱللَّهُ بِهَـٰذَا ۚ فَمَنْ أَظْلَمُ مِمَّنِ ٱفْتَرَىٰ عَلَى ٱللَّهِ كَذِبًا لِّيُضِلَّ ٱلنَّاسَ بِغَيْرِ عِلْمٍ ۗ إِنَّ ٱللَّهَ لَا يَهْدِى ٱلْقَوْمَ ٱلظَّـٰلِمِينَ (١٤٤)

 সূরা আন’আম ৬: ১৪৪ আয়াত।

বাংলা অনুবাদঃ “তবে কি আমি আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন সমাধানকারী সন্ধান করবো? অথচ তিনিই তোমাদের ‍প্রতি সুবিস্তারিত কুরআন অবতীর্ণ করেছেন। আর আমি যাদেরকে কিতাব দিয়েছি তারা জানে না যে, তা আপনার প্রতিপালকের পক্ষ থেকে সত্যসহকারে অবতীর্ণ হয়েছে। সুতরাং আপনি সন্দেহকারীদের দলভুক্ত হবেন না।”

“তবে কি আমি আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন সমাধানকারী সন্ধান করব”- কথাটি নিঃসন্দেহে মুহাম্মদের। কেনো আল্লাহ তায়ালা নিজেকে এভাবে সন্মোধন করবেন?

এটা যদি যথেষ্ঠ ‍না হয়ে থাকে তাহলে অপেক্ষা করুন আরো নতুন কিছু দেখবার। এবার দেখা যাক সূরা আল-আহ্‌যাব।

وَمُصَدِّقًا لِّمَا بَيْنَ يَدَىَّ مِنَ ٱلتَّوْرَىٰةِ وَلِأُحِلَّ لَكُم بَعْضَ ٱلَّذِى حُرِّمَ عَلَيْكُمْ ۚ وَجِئْتُكُم بِـَٔايَةٍ مِّن رَّبِّكُمْ فَٱتَّقُوا۟ ٱللَّهَ وَأَطِيعُونِ (٥٠) إِنَّ ٱللَّهَ رَبِّى وَرَبُّكُمْ فَٱعْبُدُوهُ ۗ هَـٰذَا صِرَٰطٌ مُّسْتَقِيمٌ (٥١)

 সূরা আল-আহ্‌যাব ৩: ৫০, ৫১ আয়াত।

বাংলা অনুবাদঃ হে নবী! আমি আপনার জন্য আপনার সেই স্ত্রীদেরকে হালাল করেছি যাদেরকে আপনি তাদের মোহর প্রদান করেছেন এবং হালাল করেছি সেই নারীদেরকেও যাদেরকে আল্লাহ আপনার মালিকাধীন (যে সম্পদ যুদ্ধ ছাড়াই হস্তগত হয়) করেছেন গণিমত মালরূপে এবং বিবাহের জন্য হালাল করেছি আপনার চাচার কন্যা, আপনার ফুফুর কন্যা, আপনার মামার কন্যা, আপনার খালার কন্যাকে, যারা আপনার সাথে হিযরত করেছে। আর কোন মু’মিন নারী যদি নবীর কাছে নিজেকে সমর্পণ করে এবং নবী যদি তাকে বিবাহ করতে চান, তবে সেও হালাল! এ আদেশ শুধু আপনার জন্য, অন্য মু’মিনদের জন্য নয়, (যাতে আপনার কোন সমস্যা না হয়)। মু’মিনদের স্ত্রী ও তাদের মালিকাধীন দাসীদের ব্যাপারের যা নির্ধারিত করেছি, তা আমার জানা আছে। আল্লাহ অত্যান্ত ক্ষমাশীল ও করুণাময়।

আপনি তাদের মধ্যে থেকে যাকে ইচ্ছা পৃথক রাখতে পারেন এবং যাকে ইচ্ছা কাছে রাখতে পারেন। আর আপনি যাকে পৃথক রেখেছেন, তাকে আবার চাইলে তাতে আপনার কোন গুনাহ্‌ নেই! এতে অধিক আশা করা যায় যে, তাদের চক্ষু শীতল থাকবে, তারা কষ্ট পাবে না এবং আপনি তাদেরকে যা দেন তাতে তারা সবাই সন্তুষ্ট থাকবে। তোমাদের অন্তরে যা আছে আল্লাহ তা জানেন। আল্লাহ মহাজ্ঞানী, সহনশীল।

আমার প্রশ্ন হলো কেন মা’বুদ আল্লাহ মুহাম্মদকে এহেন নারীদের তালিকা দেবেন? এটা কি বিশ্বাসযোগ্য? কেনোই বা মানবজাতির জানা প্রয়োজন কোন্‌ ধরনের নারীরা তার (মুহাম্মদের সঙ্গমলীলার) দাসত্ব করবে? তার নয়জন স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও কেনো তার প্রয়োজন হবে আরো অসংখ্য নারীদের তার সঙ্গমলীলার দাসত্ব করার? আল্লাহ তায়ালার নারীদের প্রতি এ কেমন বিচার? তাছাড়া মুহাম্মদের আর কোন কাজ ছিল না যে তাকে নারীদের অন্নেষণ করতে হবে সর্বদাই? কেনোই বা এই উন্মাদের সঙ্গমলীলার প্রতি এত আলোকপাত করতে হবে আল্লাহকে? তিনি কি নারী ব্যবসায়ী না নারী রক্ষী?

ধর্মের শিক্ষায় মানুষকে সরল পথ প্রদর্শন করাটাই মূখ্য বিষয়। যাতে মানুষ তার নারী লিপ্সুতা থেকে সরে এসে আত্নিক কাজে মনোযোগী হতে পারে। এটাই শিক্ষা সব ধর্মে। কিন্তু মুহাম্মদ তার দাসীসহ সবধরণের নারীদের স্বেচ্ছায়-অনিচ্ছায় তার ভোগের লালসা চরিতার্থ করার মানসে শত চেষ্টা চালিয়ে তা হালালের অনুমতি নিয়েছে। ব্যাপারটি সে করেছে নিজের স্বার্থেই। তবে তা আল্লাহর নামে করায় সবাই চুপ থেকেছে।

কোনো সভ্য জগতের মানুষ কি নারীদের সম্ভ্রম লুন্ঠনে মুহাম্মদের মতো সর্বদা প্রস্তুত? কেনো কোনো সভ্য জগতের মানুষ চাইবে নারীদের বলাৎকার করার জন্য? এটা কি আল্লাহর নির্দেশ হতে পারে?

মুহাম্মদ মুখে মুখে আল্লাহর রব তুলে সবসময় চেয়েছে নারীদের ধর্ষণ করার আর করেছেও সে এভাবে আল্লাহর কাঁধে নির্ভর করে। আর বেচারা আল্লাহ শুধু চেয়ে চেয়ে দেখেছে তার সব কর্মকান্ড।

আর নয়। এখন তাকে জুতো-পেটা করাটাই সঙ্গত হবে। সেইসাথে টেনে-ছিঁড়ে ফেলে দিতে হবে ইসলামী পরিচয়। কারণ এটা স্পষ্ট যে মুহাম্মদ তার ইচ্ছাকে চরিতার্থ করার জন্যে আল্লাহর নাম ব্যবহার করেছে সর্বত্র। যাতে কেউ তার বিরোধীতা করতে না পারে। একেই বলে অভিনব কারসাজি। বিষয়টি বিশ্লেষণ করুন আর সত্ত্বর পরিত্যাগ করুন ইসলামী সমস্ত বন্ধন।

Leave a Reply