You are currently viewing জানেন তো আল্লাহ কেনো তারকারাজি সৃষ্টি করেছেন?

জানেন তো আল্লাহ কেনো তারকারাজি সৃষ্টি করেছেন?

  • Post author:
  • Post last modified:April 11, 2022

পনি হয়তো ভাবছেন আল্লাহ তারকারাজি সৃষ্টি করেছেন তাঁর সৃষ্টির এক মনোরম কর্মপ্রয়াসে অন্যান্য গ্রহ সৃষ্টির মতোই। কিন্তু না, আপনার বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণের জ্ঞান মোটেও কার্যকরী হবে না যদি না আপনি জেনে থাকেন এ বিষয়ে কোরআনের তথ্যজ্ঞানটি। কোরআন আমাদের বৈজ্ঞানিক তত্ত্বজ্ঞান দিয়ে এ কথা বলে যে, আল্লাহ তারকাবাজি সৃষ্টি করেছেন মিসাইল স্বরূপ যা শয়তানের দিকে ছুঁড়ে মারা হবে। কি, হাসি পাচ্ছে কথাটি শুনে? ভাবছেন আল্লাহকেও আবার যুদ্ধ করতে হয়, তাও আবার শয়তানের সাথে! সে কারণে তাঁকে মিসাইল বানাতে হয় তারকারাজি দিয়ে?

আরে ভাই, এটাই তো সমস্যা! আমাদের বেক্কলআলী ইসলামী পন্ডিতেরা এভাবেই তা ব্যাখ্যা করেছেন কোরআনের পাতায়। আপনি তা জানেন না কারণ তা জানার চেষ্টাও করেননি কখনো। শুধু হেলেদুলে এ কথাগুলোই পড়ে চলেছেন আরবীতে। তাই তা বোঝার উপায় নেই। চলুন তবে, আজকে একটু জেনে নিই এই অজ্ঞাত বর্ণনাসমূহ। প্রথমেই দেখা যাক সূরা মুল্‌ক এর ৬৭: ৫ নয় আয়াতটি। এখানে বলা হয়েছে-

وَلَقَدْ زَيَّنَّا ٱلسَّمَآءَ ٱلدُّنْيَا بِمَصَـٰبِيحَ وَجَعَلْنَـٰهَا رُجُومًا لِّلشَّيَـٰطِينِ ۖ وَأَعْتَدْنَا لَهُمْ عَذَابَ ٱلسَّعِيرِ (05)

বাংলা অনুবাদঃ “নিশ্চয় আমি পৃথিবীর আকাশকে প্রদীপমালা দ্বারা সুশোভিত করেছি, এবং শয়তানদের প্রতি নিক্ষেপের উপকরণ করেছি, এবং ওদের জন্য জলন্ত আগুনের শাস্তি প্রস্তুত রেখেছি।”

এবার একটু ভেবে দেখুন তো ব্যাপারটি কেমন দাঁড়ালো? আল্লাহকে ছুঁড়ে মারতে হবে মিসাইলস্বরূপ তারকারাজিকে শয়তানের দিকে? শয়তান কি এতই শক্তিশালী যে আল্লাহকে প্রচুর মিসাইল তৈরী করতে হবে তাকে ঘায়েল করার জন্যে? আল্লাহর একটি অঙ্গুলীর নির্দেশে কি শয়তান পরাভূত হতে পারে না? আরবীয় এই তাত্ত্বিক জটিলতায় আমার বৈজ্ঞানিক যুক্তি যেন আর কুল কিনারা পায় না। মজার ব্যাপার হলো এই যে, এসব কথামালার ফুলঝুড়িতে আমরা মহান আল্লাহ তায়ালার এবাদত করে চলেছি দিনের পর দিন। আল্লাহর এসব বৃত্তান্তেই আমাদের উচ্চারণ করে যেতে হবে এবাদতের কার্পেটে দাঁড়িয়ে?

এবার আরেকটি আয়াত না বললেই নয়। সেটি হলো সূরা ছাফ্‌ফা-ত এর ৬-১০ নং আয়াত। এই সূরাটি ৩৭ নম্বরে অবস্থিত। তো চলুন দেখা যাক সূরা ছাফ্‌ফা-ত এ কি বলে?

إِنَّا زَيَّنَّا ٱلسَّمَآءَ ٱلدُّنْيَا بِزِينَةٍ ٱلْكَوَاكِبِ (06) وَحِفْظًا مِّن كُلِّ شَيْطَـٰنٍ مَّارِدٍ (07) لَّا يَسَّمَّعُونَ إِلَى ٱلْمَلَإِ ٱلْأَعْلَىٰ وَيُقْذَفُونَ مِن كُلِّ جَانِبٍ (08) دُحُورًا ۖ وَلَهُمْ عَذَابٌ وَاصِبٌ (09) إِلَّا مَنْ خَطِفَ ٱلْخَطْفَةَ فَأَتْبَعَهُۥ شِهَابٌ ثَاقِبٌ (10)

বাংলা অনুবাদঃ “আমি তোমাদের নিকটবর্তী আকাশকে নক্ষত্ররাজি দ্বারা সুশোভিত করেছি, ও একে প্রত্যেক অবাধ্য শয়তান হতে রক্ষা করেছি। ফলে, শয়তানরা উর্দ্ধ জগতের কিছু শ্রবণ করতে পারে না। ওদের ওপর চারিদিক হতে উল্কা নিক্ষিপ্ত হয়। ওদের বিতাড়নের জন্য আছে অবিরাম শাস্তি। তবে কেউ গোপনে হঠাৎ কিছু শুনে ফেললে জ্বলন্ত উল্কা পিন্ড তার পশ্চাদ্ধাবন করে।”

উল্লেখিত আয়াতসমূহে সুস্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে নক্ষত্ররাজি কিছুই নয় শুধু শয়তানদের দিকে নিক্ষিপ্ত করার অস্ত্র যেন তারা উর্দ্ধাকাশের কোন বিষয়ে কান দিতে না পারে। তাহলে কি এটি আল্লাহর সর্বময় শক্তি ও সর্বভৌমত্তের পরিপন্থী হচ্ছে না? বস্তুতঃ এখানেও আমরা দেখতে পাই অযোক্তিক, অবৈজ্ঞানিক তথ্য ও হাস্যকর গল্পের উপাদান। তাদের মতে আল্লাহ শুধু শয়তানকে দমন করার জন্যে সৃষ্টি করেছেন বিশাল নক্ষত্রপুন্জ্ঞ, তারকারাজি। একটু ভেবে দেখুন তো আপনার বুদ্ধির সীমারেখার জালে এর সত্যতার কোন রেশ ধরা পড়ে কিনা! সেটা না পড়ারই কথা। একই বলে- কি খাওয়াচ্ছে আমাদের আর কি খাচ্ছি আমরা!

Leave a Reply