You are currently viewing ঐশী গ্রন্থধারীদের প্রতি আল্লাহর নির্দেশ

ঐশী গ্রন্থধারীদের প্রতি আল্লাহর নির্দেশ

  • Post author:
  • Post last modified:April 30, 2022

প্রিয় হলেও সত্য সত্যই। সত্যকে মিথ্যা দিয়ে ধামাচাপা দিয়ে রাখার প্রচেষ্টা চলেছে পৃথিবীতে সর্বত্র। মানুষের বুদ্ধি আর জ্ঞানের পরিধি যত বিস্তারিত হয়েছে ততই চলেছে সত্যকে অপহরণের অজস্র পাঁয়তারা। ধর্মীয় অঙ্গনেও রয়েছে এর অবাধ বিচরণ। তাই আমাদের উচিত সুশীল চিন্তাকে কাজে লাগানো।

হযরত ঈসা (আঃ) এর বিষয়ে কোরআন শরীফে অজস্র আয়াত থাকা সত্ত্বেও তা নিয়ে বিভ্রান্তির অন্ত নেই। কারণ অনেকেই চান না সত্যটি প্রকাশ পাক। পেলে তাদের জন্যে তা মোটেও সুসংবাদ বয়ে আনবে না। এ বিষয়ে কিছু আয়াতের বর্ণনা করতে চাই যা হয়তো আপনাকে সাহায্য করবে আল্লাহর পরিচালনা বোঝার।

সূরা মায়িদাহ্‌ ৫: ৪৬, ৪৭ আয়াতটি লক্ষ্য করা যাক।

وَقَفَّيْنَا عَلَىٰٓ ءَاثَـٰرِهِم بِعِيسَى ٱبْنِ مَرْيَمَ مُصَدِّقًا لِّمَا بَيْنَ يَدَيْهِ مِنَ ٱلتَّوْرَىٰةِ ۖ وَءَاتَيْنَـٰهُ ٱلْإِنجِيلَ فِيهِ هُدًى وَنُورٌ وَمُصَدِّقًا لِّمَا بَيْنَ يَدَيْهِ مِنَ ٱلتَّوْرَىٰةِ وَهُدًى وَمَوْعِظَةً لِّلْمُتَّقِينَ (٤٦) وَلْيَحْكُمْ أَهْلُ ٱلْإِنجِيلِ بِمَآ أَنزَلَ ٱللَّهُ فِيهِ ۚ وَمَن لَّمْ يَحْكُم بِمَآ أَنزَلَ ٱللَّهُ فَأُو۟لَـٰٓئِكَ هُمُ ٱلْفَـٰسِقُونَ (٤٧)

উচ্চারণঃ ৪৬ওয়া ক্বাফ্‌ফাইনা আলা- আ-ছা-রিহিম বি’ঈসাবনি মারইয়ামা মুছাদ্দি কাল লিনা-বাইলা ইয়াদইহি মিনাত তাওরা-তি, ওয়া আ-তাইনা-হুল ইনজ্বীলা ফীহি হুদাওঁ ওয়া নূরুওঁ ওয়া মুছাদ্দিকাল লিমা- বাইনা ইয়াদাইহি মিনাত তাওরা-তি ওয়া হুদাওঁ ওয়া মাও’ইজাতাল লিলমুত্তাক্বীন। ৪৭ওয়াল ইয়াহূকূম আহ্‌লুল ইনজ্বীল বিমা- আন্‌যালাল্লা- হু ফীহি; ওয়া মাললাম ইয়াহ্‌কুম বিমা- আনয্বালাল্লা হও ফাউলা- ইকা হুমুল ফা-সিকুন।

বাংলা অনুবাদঃ ৪৭ অর্থাৎ মরিয়ম- তনয় ঈসাকে তার পূর্বে অবতীর্ণ তওরাতের সমর্থকরূপে ওদের উত্তর সঠিক করেছিলাম এবং তার পূর্বে অবতীর্ণ তাওরাতের সমর্থকরূপে এবং মুত্তাকীদের জন্যে পথনির্দেশ ও উপদেশরূপে তাকে ইন্জ্ঞীল দিয়েছিলাম, ওতে ছিল পথের নির্দেশ ও আলো। ৪৭এবং ইন্জ্ঞীলধারীদের উচিত যে, ওতে উল্লেখিত আল্লাহর নির্দেশ মত বিধান দেওয়া আর যারা আল্লাহর নির্দেশ অনুযায়ী বিধান দেয় না তারা শান্তি ভঙ্গকারী।

এই আয়াতে বলা হয়েছে যে, আল্লাহ তায়ালা ঈসা (আঃ) কে তাওরাতের সমর্থকরূপে পাঠিয়েছেন। এখানে আল্লাহ পাকের ঐশ্বরিক প্রেরণের কথা বলা হয়েছে। এবং বলা হয়েছে ইন্জ্ঞীলে রয়েছে পথ নির্দেশ ও আলো। একথাও বলা হয়েছে যে, এই পথ-নির্দেশ ও আলো সংক্রান্ত আল্লাহর নির্দেশ অনুসারী যে বিধান দেয় না তারা শান্তি ভঙ্গকারী। তাঁর ঐশ্বরিক প্রেরণের কথা ৫ বার বলা হয়েছে কোরআনে।

وَمُصَدِّقًا لِّمَا بَيْنَ يَدَىَّ مِنَ ٱلتَّوْرَىٰةِ وَلِأُحِلَّ لَكُم بَعْضَ ٱلَّذِى حُرِّمَ عَلَيْكُمْ ۚ وَجِئْتُكُم بِـَٔايَةٍ مِّن رَّبِّكُمْ فَٱتَّقُوا۟ ٱللَّهَ وَأَطِيعُونِ (٥٠)

সূরা আল ইমরান ৩: ৫০ আয়াত

বাংলা অনুবাদঃ “আমি এসেছি তাওরাতে যা আছে, তার সমর্থকরূপে ও তোমাদের জন্য যা নিষিদ্ধ ছিল তার কতকগুলিকে বৈধ করতে, এবং আমি রবের নিকট থেকে নিদর্শন এনেছি, আল্লাহকে ভয় কর আর আমাকে মান।

আমরা আল্লাহকেও ভয় করিনা, তাঁকেও (ঈসা) মানিনা। এখানেও হযরত ঈসা মসীহের ঐশ্বরিক আগমন ও কারণ প্রকাশ পেয়েছে। এবার দেখা যাক সূরা আন্‌ নিসা-র ৪: ১৭১ আয়াতটি। এখানে বলা হয়েছে-

يَـٰٓأَهْلَ ٱلْكِتَـٰبِ لَا تَغْلُوا۟ فِى دِينِكُمْ وَلَا تَقُولُوا۟ عَلَى ٱللَّهِ إِلَّا ٱلْحَقَّ ۚ إِنَّمَا ٱلْمَسِيحُ عِيسَى ٱبْنُ مَرْيَمَ رَسُولُ ٱللَّهِ وَكَلِمَتُهُۥٓ أَلْقَىٰهَآ إِلَىٰ مَرْيَمَ وَرُوحٌ مِّنْهُ ۖ فَـَٔامِنُوا۟ بِٱللَّهِ وَرُسُلِهِۦ ۖ وَلَا تَقُولُوا۟ ثَلَـٰثَةٌ ۚ ٱنتَهُوا۟ خَيْرًا لَّكُمْ ۚ إِنَّمَا ٱللَّهُ إِلَـٰهٌ وَٰحِدٌ ۖ سُبْحَـٰنَهُۥٓ أَن يَكُونَ لَهُۥ وَلَدٌ ۘ لَّهُۥ مَا فِى ٱلسَّمَـٰوَٰتِ وَمَا فِى ٱلْأَرْضِ ۗ وَكَفَىٰ بِٱللَّهِ وَكِيلًا (١٧١)

বাংলা অনুবাদঃ হে ঐশী গ্রন্থধারীগণ, ধর্মের ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করো না ও আল্লাহ সম্মন্ধে সত্য বল। মরিয়ম তনয় ঈসা মসীহ আল্লাহর রাসূল এবং তাঁর বানী যা তিনি মরিয়মের নিকট প্রেরণ করেছিলেন ও রুহ তার নিকট থেকেই আগত তাই (তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলে বিশ্বাস কর এবং বল না যে, আল্লাহ তিন জন। তাতে তোমাদের মঙ্গল হবে। আল্লাহই তো একমাত্র উপাস্য, তাঁর সন্তান হবে- তিনি এর অনেক উর্দ্ধে। আকাশে ও ভূমন্ডলে যা কিছু আছে সব আল্লাহরই, কর্মবিধায়ক হিসাবে আল্লাহই যথেষ্ট।

এই আয়াতে কয়েকটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমতঃ বলা হয়েছে ঈসা মসীহ্‌ আল্লাহর রাসূল। তিনি আল্লাহর বাণী ও আল্লাহর রূহ। আরও বলা হয়েছে যে তিনি আল্লাহর রসূল। এবং এ বিষয়ে যেন বাড়াবাড়ি করা না হয়। পৃথিবীর আর কাউকে এভাবে বিস্তারিত ব্যাখ্যায় বলা হয় নাই কোন কিতাবে।

কাকে বলা হয়েছে এ কথাগুলো? ঐশ্বী গ্রন্থধারীগণকে। ঐশ্বী গ্রন্থাধারী তারা যারা আল্লাহর কিতাব অনুসরণ করে। আপনি কি গ্রন্থাধারীদের একজন? তাহলে আপনার জন্যেও এই নির্দেশ। আর যদি অন্য কোনো গ্রন্থে গেঁথে থাকে আপনার বিশ্বাসের ঠিকানা তাহলে আপনি বুঝবেন না এ কথা।

এবার আসুন দেখা যাক সূরা আল-ইমরান এর ৩: ৪৫ আয়াতটি। এখানে বলা হয়েছে-

إِذْ قَالَتِ ٱلْمَلَـٰٓئِكَةُ يَـٰمَرْيَمُ إِنَّ ٱللَّهَ يُبَشِّرُكِ بِكَلِمَةٍ مِّنْهُ ٱسْمُهُ ٱلْمَسِيحُ عِيسَى ٱبْنُ مَرْيَمَ وَجِيهًا فِى ٱلدُّنْيَا وَٱلْـَٔاخِرَةِ وَمِنَ ٱلْمُقَرَّبِينَ (٤٥)

বাংলা অনুবাদঃ “যখন ফেরেশতাগণ বলল, হে মরিয়ম! আল্লাহ নিজের পক্ষ থেকে তোমাকে একটি সুসংবাদ দিচ্ছেন। যার নাম হবে মসীহ্‌ মরিয়ম-পুত্র ঈসা। সে হবে ইহকাল ও পরকালে সম্মানিত এবং সান্নিধ্যপ্রাপ্তগণের অন্যতম।”

আল্লাহ যদি সুসংবাদ পাঠিয়ে থাকেন তাঁর ফেরেশতা দিয়ে মরিয়মের কাছে, আর বলে থাকেন সে হবে ইহকাল ও পরকালে সম্মানিত এবং সান্নিধ্যপ্রাপ্তগণের অন্যতম, তাহলে কোন্‌ দুঃসাহসে আমরা তাঁকে অবজ্ঞা করে থাকি?

আল-ইমরানের ৩: ৫০, ৫১ আয়াতগুলিও অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। দেখুন কি বলে এখানে।

وَمُصَدِّقًا لِّمَا بَيْنَ يَدَىَّ مِنَ ٱلتَّوْرَىٰةِ وَلِأُحِلَّ لَكُم بَعْضَ ٱلَّذِى حُرِّمَ عَلَيْكُمْ ۚ وَجِئْتُكُم بِـَٔايَةٍ مِّن رَّبِّكُمْ فَٱتَّقُوا۟ ٱللَّهَ وَأَطِيعُونِ (٥٠) إِنَّ ٱللَّهَ رَبِّى وَرَبُّكُمْ فَٱعْبُدُوهُ ۗ هَـٰذَا صِرَٰطٌ مُّسْتَقِيمٌ (٥١)

বাংলা অনুবাদঃ৫০আমি এসেছি তাওরাতে যা আছে, তার সমর্থকরূপে ও তোমাদের জন্য যা নিষিদ্ধ ছিল তার কতকগুলিকে বৈধ করতে, এবং আমি রবের নিকট থেকে নিদর্শন এনেছি, আল্লাহকে ভয় কর আর আমাকে মান৫১আল্লাহ আমার রব তোমাদের রব সুতরাং তাঁর উপাসনা করবে এটিই সরল পথ।”

উল্লেখিত আয়াতসমূহ বিবেচনা করলে দেখা যায় যে, মরিয়ম তনয় ঈসা তাওরাতের যথার্থতা প্রমাণ করেন। এছাড়াও, তিনি শরীয়ত পূর্ণগঠনের অধিকার করেন। আল্লাহর কালামের সমস্ত পরাক্রম তাঁর মাঝে নিহিত রয়েছে। সর্বশক্তিমান আল্লাহ তায়ালা স্বয়ং তাঁর সাথে যোগাযোগ করেছেন। কোনো ফেরেশ্‌তা বা অন্য কেউ পর্দার আড়াল থেকে তাঁকে নির্দেশ দেন নাই; বরং তিনি সরাসরি আল্লাহর কাছে থেকে নির্দেশ পেয়েছেন। তাঁকে প্রেরণের কথা ৫ বার বলা হয়েছে কোরআনে। আর পবিত্র ইন্জ্ঞীল শরীফে তা বলা হয়েছে ৩০ বার।

এছাড়াও, আমরা কোরআনে দেখতে পাই আল্লাহর সাথে মসীহে্‌র কথোপকথনের দৃষ্টান্ত এভাবে-

إِذْ قَالَ ٱللَّهُ يَـٰعِيسَى ٱبْنَ مَرْيَمَ ٱذْكُرْ نِعْمَتِى عَلَيْكَ وَعَلَىٰ وَٰلِدَتِكَ إِذْ أَيَّدتُّكَ بِرُوحِ ٱلْقُدُسِ تُكَلِّمُ ٱلنَّاسَ فِى ٱلْمَهْدِ وَكَهْلًا ۖ وَإِذْ عَلَّمْتُكَ ٱلْكِتَـٰبَ وَٱلْحِكْمَةَ وَٱلتَّوْرَىٰةَ وَٱلْإِنجِيلَ ۖ وَإِذْ تَخْلُقُ مِنَ ٱلطِّينِ كَهَيْـَٔةِ ٱلطَّيْرِ بِإِذْنِى فَتَنفُخُ فِيهَا فَتَكُونُ طَيْرًۢا بِإِذْنِى ۖ وَتُبْرِئُ ٱلْأَكْمَهَ وَٱلْأَبْرَصَ بِإِذْنِى ۖ وَإِذْ تُخْرِجُ ٱلْمَوْتَىٰ بِإِذْنِى ۖ وَإِذْ كَفَفْتُ بَنِىٓ إِسْرَٰٓءِيلَ عَنكَ إِذْ جِئْتَهُم بِٱلْبَيِّنَـٰتِ فَقَالَ ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ مِنْهُمْ إِنْ هَـٰذَآ إِلَّا سِحْرٌ مُّبِينٌ (١١٠)

 সূ্রা মায়িদাহ্‌ ৫: ১১০ আয়াত।

বাংলা অনুবাদঃ “(স্মরণ করো) যখন আল্লাহ বললেন, ‘হে মরিয়ম তনয় ঈসা! তুমি তোমার জননীর প্রতি আমার অনুগ্রই স্মরণ করঃ পবিত্র আত্না দ্বারা আমি তোমাকে শক্তিশালী করেছিলাম এবং তুমি দোলনায় থাকা অবস্থায় ও পরিণত বয়সের মানুষের সাথে কথা বলতে, তোমাকে জ্ঞান-বিজ্ঞান, তত্ত্বগত ও ইন্জ্ঞীল শিক্ষা দিয়েছিলাম। তুমি কাদা দিয়ে…..।”

এই আয়াতে আল্লাহ একবচন এ বলেছেন “আমি,” একজন ব্যক্তি হিসেবে, কোন মধ্যস্ততাকারী ছাড়া।

এইসব আয়াত থেকে আমরা দেখতে পাই যে, মরিয়ম তনয় আল্লাহর কাছ থেকে কোনো (ছাপানো) মুদ্রিত বই গ্রহণ করেন নাই। কিন্তু বিশাল জ্ঞান ভান্ডার গ্রহণ করেছেন যা কোন পুস্তকে ধারণ করা সম্ভব নয়। মসীহ্‌ নিজেও তা সাক্ষ্য দিয়ে বলেছেন কালাম তাঁর নিজের কাছ থেকে আসে নাই। বরং তা এসেছে তাঁর রূহানী পিতার কাছ থেকে পাক রূহের মধ্য দিয়ে। ইউহোন্না ১৪: ১০ আয়াত, ইউহোন্না ৫: ১৯ আয়াত দ্রষ্টব্য, ইন্জ্ঞীল শরীফ।

সূরা আল্‌ ইমরানের ৫৫ আয়াতের টীকাটি লক্ষ্যণীয়। এখানে বলা হয়েছে- মহান আল্লাহ তায়ালার বাণী “তোমরা যে বিষয়ে মতবিরোধ করছো কিয়মাত দিবসে আমি এর মিমাংসা করে দেবো।” এই বক্তব্য দ্বারা ইহুদীরা ঈসা (আঃ) এর নবুয়ত ও তাঁর জন্মগত পবিত্রতার ব্যাপারে যে তর্ক বিতর্ক করত সে দিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে। বলা হয়েছে, তোমরা ইন্জ্ঞীল কিতাবের প্রতি ঈমান আনছো না। তাছাড়া তোমরা তাঁর পিতাহীন জন্মগ্রহণ করাতে সন্দেহের চোখে দেখছো। তোমাদের মৃত্যুর পর এসব যথার্থ ফায়সালা আমি করে দেবো। তখন তোমরা বুঝতে পারবে কোন্‌টা সত্য আর কোন্‌টা মিথ্যা।

উপরোক্ত টীকা থেকে বোঝা যায় কতিপয় ইহুদী এ ব্যাপারে সন্দেহ বা মতবিরোধ করেছিলো এবং আল্লাহ তাদের ত্রুটি দেখিয়ে দেবেন যখন তারা তাঁর কাছে ফিরে যাবে মৃত্যু শেষে। সে তো গেল কতিপয় ইহুদীদের কথা। আজকের ঈমানদার ব্যক্তিরা এ ব্যাপারে কি করছেন সেটাই আমার প্রশ্ন। তারাও কি তাদের মতো ভুল পথে পদার্পণ করেছেন না? করছেন তো।

Leave a Reply