You are currently viewing আরবের নবী যখন মারিয়া কিবতিয়াকে ধর্ষণ করে হাতে নাতে ধরা পড়েছিলেন

আরবের নবী যখন মারিয়া কিবতিয়াকে ধর্ষণ করে হাতে নাতে ধরা পড়েছিলেন

  • Post author:
  • Post last modified:January 22, 2024

শিরোনাম দেখে অবাক হচ্ছেন নিশ্চয়! হয়তো ভাবছেন এটা কোন অসত্য ঘটনা। কিন্তু না। এটা এক অনাকাক্ষিত সত্য ঘটনা যা কোরআনেই লিপিবদ্ধ রয়েছে। আমার নিজেরও অনেক কষ্ট হয়েছে ব্যাপারটি বিশ্বাস করতে। অতঃপর অত্যান্ত সুক্ষভাবে ঘেঁটে দেখেছি কোরআনের বর্ণনা, তাফসীর আর হাদিসের পাতাগুলি। আমার সত্য উদ্ঘাটনের সেখানেই সূত্রপাত। আপনিও তা উদ্‌ঘাটনে সক্ষম হবেন। চলুন তবে দেখা যাক ব্যাপারটির ইতিবৃত্ত। কোরআন শরীফের ৬৬ নং সূরা আত্ তাহরীম এর বর্ণনা রয়েছে ঠিক এইভাবেঃ কিন্তু এর তরজমা বা অনুবাদে রয়েছে এক নির্লজ্জ চাতুরী।

يَـٰٓأَيُّهَا ٱلنَّبِىُّ لِمَ تُحَرِّمُ مَآ أَحَلَّ ٱللَّهُ لَكَ ۖ تَبْتَغِى مَرْضَاتَ أَزْوَٰجِكَ ۚ وَٱللَّهُ غَفُورٌۭ رَّحِيمٌۭ ١ قَدْ فَرَضَ ٱللَّهُ لَكُمْ تَحِلَّةَ أَيْمَـٰنِكُمْ ۚ وَٱللَّهُ مَوْلَىٰكُمْ ۖ وَهُوَ ٱلْعَلِيمُ ٱلْحَكِيمُ ٢ وَإِذْ أَسَرَّ ٱلنَّبِىُّ إِلَىٰ بَعْضِ أَزْوَٰجِهِۦ حَدِيثًۭا فَلَمَّا نَبَّأَتْ بِهِۦ وَأَظْهَرَهُ ٱللَّهُ عَلَيْهِ عَرَّفَ بَعْضَهُۥ وَأَعْرَضَ عَنۢ بَعْضٍۢ ۖ فَلَمَّا نَبَّأَهَا بِهِۦ قَالَتْ مَنْ أَنۢبَأَكَ هَـٰذَا ۖ قَالَ نَبَّأَنِىَ ٱلْعَلِيمُ ٱلْخَبِيرُ ٣ إِن تَتُوبَآ إِلَى ٱللَّهِ فَقَدْ صَغَتْ قُلُوبُكُمَا ۖ وَإِن تَظَـٰهَرَا عَلَيْهِ فَإِنَّ ٱللَّهَ هُوَ مَوْلَىٰهُ وَجِبْرِيلُ وَصَـٰلِحُ ٱلْمُؤْمِنِينَ ۖ وَٱلْمَلَـٰٓئِكَةُ بَعْدَ ذَٰلِكَ ظَهِيرٌ ٤ عَسَىٰ رَبُّهُۥٓ إِن طَلَّقَكُنَّ أَن يُبْدِلَهُۥٓ أَزْوَٰجًا خَيْرًۭا مِّنكُنَّ مُسْلِمَـٰتٍۢ مُّؤْمِنَـٰتٍۢ قَـٰنِتَـٰتٍۢ تَـٰٓئِبَـٰتٍ عَـٰبِدَٰتٍۢ سَـٰٓئِحَـٰتٍۢ ثَيِّبَـٰتٍۢ وَأَبْكَارًۭا ٥

বঙ্গানুবাদঃ ১) হে নবী! আল্লাহ্ আপনার জন্য যা হালাল করেছেন, আপনি তা হারাম করছেন কেন? আপনি আপনার স্ত্রীদের খুশী করতে চাইছেন। আল্লাহ্ অতিশয় ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। ২) আল্লাহ্ তো তোমাদের জন্য নির্ধারণ করে দিয়েছেন শপথ থেকে মুক্তির ব্যবস্থা। আল্লাহ্ তোমাদের বন্ধু। তিনি সর্বজ্ঞ, মহা কৌশলী। স্বরণ কর, যখন নবী তাঁর স্ত্রীদের একজনের কাছে গোপনে কিছু কথা বলেছিলেন, তারপর যখন সে তা অন্যকে বলে দিল এবং আল্লাহ্ নাবীকে তা জানিয়ে দিলেন, তখন নবী সে সম্পর্কে কিছু ব্যক্ত করলেন এবং কিছু ব্যক্ত করলেন না। অতঃপর যখন তিনি তা তার স্ত্রীকে বললেন তখন সে বললঃ কে আপনাকে এ ব্যাপারে অবহিত করেছেন? নবী বললেন: আমাকে অবহিত করেছেন (আল্লাহ্) যিনি সর্বজ্ঞ, সর্ব বিষয়ে অভিজ্ঞ। ৪) তোমাদের অন্তর অন্যায়ের দিকে ঝুঁকে পড়েছে, তাই তোমরা উভয়ে আল্লাহর নিকট তাওবাহ করলে ভাল হয়। কিন্তু যদি তোমরা নবীর বিরুদ্ধে একে অপরকে সাহায্য কর তবে জেনে রেখ, আল্লাহই তাঁর বন্ধু এবং জিবরীল ও নেককার মুমিনরাও, তাছাড়া অন্যান্য ফেরশতারাও (তাঁর) সাহায্যকারী। ৫) যদি নবী তোমাদের সবাইকে তালাক দেন, তবে তাঁর প্রতিপালক অচিরেই তোমাদের পরিবর্তে তাঁকে তোমাদের চেয়ে উত্তম স্ত্রী দিবেন, যারা হবে আজ্ঞাবহ, ঈমানদীর, অনুগত, তাওবাকারিণী, ইবাদতকারিণী, বোযাদার, বিধবা ও কুমারী। (সুরা আত্‌-তাহরীম ৬৬:১-৫)

তাহরীম অর্থ হারামীকরণ অর্থাৎ হারাম হিসেবে গণ্য করা। এখানে কাকে হারাম হিসেবে গণ্য করা হয়েছে? নবীজির স্ত্রীদের হারাম বলে গণনা করেছেন তিনি। কেনো? বিশেষতঃ হাফসা ও আয়েশাকে। কারণ, তারা দুজনেই হাতে নাতে ধরে ফেলেছেন নবীজিকে যখন তিনি হাফসার ঘরে, তারই বিছানায় হাফসার অবর্তমানে মারিয়াকে ধর্ষণ করেছেন। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো এই ঘটনাটি সযত্নে পাশ কাটিয়ে গিয়েছেন ইসলামের পণ্ডিতেরা। তারা বিভিন্ন জনে ভিন্ন ভিন্ন চিত্রের অবতারণা করেছেন লজ্জা ঢাকার প্রয়োজনে। কেউ কেউ বিষয়টির ব্যাখ্যা করেছেন যে, তাঁর স্ত্রীরা তাঁর বিরোধিতা করেছেন একে অন্যের প্রতি হিংসার কারনে। কেউ কেউ বলেছেন তিনি মেগাফী (বন্য মধু) খেয়ে স্ত্রীদের গৃহে প্রবেশ করেছিলেন। আর মেগাফীর গন্ধে তারা প্রতিবাদ করেছিলো, এবং গৃহে প্রবেশে বাধা দিয়েছিলো।

বস্তুতঃ মেগাফী নয় তারা (স্ত্রীরা) জেনে গিয়েছিলো আসল ঘটনাটি। সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবাদে ঘরের দরজাসমূহ বন্ধ করে দিয়েছিলো। সে কারণে তিনি তাদের সবাইকে তালাক দিতে চেয়েছিলেন। সেসময়ে তাঁর কথানুযায়ী তাঁর কাছে নাজিল হয়েছিলো আল্লাহর বাণী যাতে সতর্ক করে বলা হয়েছে যে, তাঁর স্ত্রীরা তাঁকে কষ্ট দিলে আল্লাহ্ তাঁকে আরও অধিক মর্যাদাবান উত্তম স্ত্রী প্রদান করবেন।

কোন বিবেকবান মানুষের এটা হজম করতে কষ্ট হবারই কথা। কিন্তু আমাদের মৌলভী সম্প্রদায়ের মিথ্যা গলাবাজির স্রোতে ভেসে গেছে ঘটনার সত্যতা। তাদের মতে নবীজির বিরোধিতা করায় তিনি ‘ভার স্ত্রীদের হারাম হিসেবে গণ্য করেছেন। এ কারনেই সূরাটির নামকরণ করা হয়েছে “আত-তাহরীম”।

কিন্তু কি কারনে তারা বিরোধিতা করেছেন সে কথা বলেনি কেউ। তিনি নিকৃষ্টতম কাজ করবেন আর তাঁর স্ত্রীরা তার বিরোধিতা করবেন না? এটাই কি আল্লাহর বিচার।  অন্য কেউ এহেন গর্হিত কাজটি করলে তার পরিণাম হতো অবধারিত মৃত্যু। তাও প্রকাশ্যে প্রস্থরাঘাতে অথচ নবীজির বেলায় সবকটি চোখ বন্ধ থাকতে হবে। বলা যাবে না কিছু।

প্রকৃত ঘটনাটি হলো যে, নবীজি মুহাম্মদ একদিন তাঁর স্ত্রী হাফসাকে বললেন যে, তার বাবা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন এবং তাকে দেখতে চেয়েছেন। কথাটি শোনার পরপরই হাফসা কাঁদতে কাঁদতে ছুটে গিয়েছিলেন বাবার বাসার দিকে। সেখানে গিয়ে দেখতে পান তার বাবা হযরত ওমর (রাঃ) বারান্দায় বসে ছুরি দিয়ে, একটি বাঁশের কঞ্চি কাটছিলেন। ক্রন্দনরত মেয়েকে দেখে তিনি দিজ্ঞেস করলেন কি হয়েছে? হাফসা তাকে ব্যাপারটি খুলে বলতেই তিনি অবাক হলেন। কৈ তিনি তো কাউকে বলেননি যে তিনি অসুস্থ!, তক্ষনে হাফ্সা উপলব্ধি করতে পারেন তার স্বামীর মিথ্যাচারিতা। তিনি তৎক্ষনাৎ ফিরে যান নিজ বাসায় এবং দেখতে পান তার কক্ষটির দরজা বন্ধ এবং তার বুঝতে বাকি রইলো না যে তার গুনধর স্বামী মুহাম্মদ তার বাঁদী মারিয়া কিবতিয়াকে তার বিছানায়া তুলেছেন অবৈধ সঙ্গমের বাসনায়। মুর্হুতেই হাফসা চিৎকার করে কান্না-কাটি শুরু করেন আর দরজায় আঘাত করতে থাকেন অনবরত।

উপায়ন্তর না দেখে নবীজি তখন দরজা খুলে বেরিয়া আসেন আর হাফসার মুখ চেপে ধরেন যেন সে আর চিৎকার করতে না পারে। অতঃপর অনেক অনুনয়সহকারে নবীজি তখন হাফসার কাছে প্রতিজ্ঞা করেন যে, তিনি কাজটি আর কখনো করবেন না। একই সাথে তিনি প্রতিজ্ঞা করেন যে হাফসার পিতা অর্থাৎ ওমর কে তিনি খেলাফত দান করবেন খলিফা হিসাবে। এছাড়াও তিনি অনুরোধ করেন যেন সে কাউকে এ ব্যপারটি না বলে। কিন্তু পরবর্তীতে হাফসা তার প্রিয় বান্ধবী আয়েশাকে এসব কিছু বলে দেন।

এ লজ্জা ঢাকতে নবীজি তখন তাঁর স্ত্রীদের অবাধ্যতার ব্যাপারে প্রশ্ন তোলেন এবং তাদের তালাক দেবার ভয় দেখান।

আমি ভাবছি এত বিরাট একটা ঘটনা কিভাবে আমাদের বিজ্ঞজনরাও নিরবে চেপে গেলেন? নবীজি অবৈধ সঙ্গম করলেন না ধর্ষন করলেন সেটা বড় বিষয় নয়। বিষয়টি হলো যে নিজের অবৈধ কাজের সঙ্গত শাস্তিটা তিনি কি এক সুকৌশলে হারাম করার নামে চেপে গেলেন? সেইসাথে বন্য মধু বা মেগাফী খাওযার নাটক সাজিয়ে ভণ্ডামী করলেন সহজ সরল বিশ্বাসীদের সাথে। এটা কি এক অভিনব প্রতারণা নয়?

এখানেই কিন্তু ঘটনার শেষ নয়, তিনি তাঁর প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করে বহুবার মারিয়া-র সাথে সেই অবৈধ যৌনসঙ্গম করেছেন, বিবাহ করেননাই তাকে। ফলশ্রুতিতে, মারিয়ার কোলে জন্ম নেয় মুহাম্মদদের জারজ সন্তান ইব্রাহিম ইবনে মুহাম্মদ। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশতঃ মাত্র আঠারো মাস বয়সে শিশু ইব্রাহিমের মৃত্যু হয় অসুস্থতাবস্থায়। ‘সিরাতুন নবী’ পড়ে দেখলেই আমরা বুঝতে পারবো মুহাম্মদ কখনো মারিয়াকে স্ত্রীর মর্যাদা দেন নাই, শুধু মাত্র ভোগের পাত্র হিসেবে ব্যবহার করেছেন তাকে।

এ কেমন নবী যার ধর্ষণ কর্মকে হালাল করা হয় আর ধর্ষিতাকে হতে হয় ‘হারাম! আল্লাহর দোহাই দিয়ে মানুষকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নিজের পাশবিক উম্মাদনাকে যিনি জায়েজ করে নিয়েছেন। তার নাম মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল্লাহ। অথচ কি এক আজব বিধানে পঞ্চমুখ আজ ইসলামের চন্ডীদাসেরা।

এবার আসা যাক, কে ছিলেন এই মারিয়া কিবতিয়া? মারিয়া আল-কিবতিয়া ছিলেন একজন ইহুদীবংশভূত মিশরীয় কপট্ খ্রীষ্টিয়ান মহিলা। জানা যায় যে তিনি অত্যান্ত ফর্সা ও সুন্দরী ছিলেন। মারিয়া ও তার বোন শিরীন বিন্‌ত শামুন কে আলেকজান্দ্রিয়ার গভর্নর মুহাম্মদকে উপহার হিসেবে দিয়েছিলেন তার আক্রমন থেকে রক্ষা পাওয়ার ভয়ে। মারিয়া একজন মিশরীয় ধনবান লোকের কন্যা ছিলেন এবং তার মা ছিলেন একজন গ্রীক মহিলা, যারা মিশরে বসবাস করতেন।

দুর্ভাগ্যবশত: মারিয়াকে নবীকি ভোগ করেছেন কিন্তু কখনও বিয়ে করেন নাই। ইবনে ইসহাক, ইবনে সউদ ও আল তাবারী মারিয়াকে তাদের লিখিত সিরাহতে একজন রক্ষিতা হিসেবে বর্ণনা করেছেন, স্ত্রী হিসেবে নয়।

এ বিষয়ে আরও বিশদভাবে জানতে হলে বোখারী শরীফ ও তাফসীরে জালালাইনের ৬ষ্ঠ খন্ড পৃষ্ঠা নং ৬০৫-৬০৯ দয়া করে পড়ে দেখতে পারেন। এ বিষয়ে সেখানে প্রশ্ন তোলা হয়েছে যে, মুহাম্মদ এ ব্যাপারে কাফ্ফারা আদায় করেছিলেন কিনা, ইত্যাদি ইত্যাদি।

কিন্তু আমার প্রশ্ন হলো যে ব্যক্তি মহানবীর দাবিদার, সে কিভাবে কোনো মেয়েকে ধর্ষণ করতে পারে? তাকে নবী না বলে শয়তান বলাই কি বাঞ্চনীয় নয়? এমন হিতাহিত জ্ঞানহীন লোক কোনভাবে হতে পারে না আল্লার নবী।

Leave a Reply