You are currently viewing আপনার জন্য হালাল আর সবার জন্য হারাম

আপনার জন্য হালাল আর সবার জন্য হারাম

  • Post author:
  • Post last modified:May 28, 2021

লিখতে চেয়েছিলাম কোরআন বুঝে পড়ার চেয়ে কোরআন পড়ে তা বোঝার গুরুত্বতার বিষয়ে। কারণ, আমরা যখন না বুঝে অনেক বাক্য আউড়াই কোরআন থেকে আর আত্নতৃপ্তি লাভ করি নেক আমলের আশায়, তখন বুঝতে পারি না কোন্‌ অসংলগ্ন কথার ফুলঝুরি ছড়িয়ে আমরা আল্লাহ্‌ তায়ালার মনতুষ্টি অর্জনের চেষ্টা করছি। যেহেতু আমরা আরবী বুঝিনা সেহেতু সে ভাষায় মুখস্ত বিদ্যার ঝলকানি দিয়ে অনর্গল বাক্য বিন্যাস করা নিতান্তই হাস্যকর।

একটু ভেবে দেখুনতো কাকে বলছি আমরা কথাগুলো। কি কারণে বলছি? এসব বাক্যে কি তিনি (আল্লাহ্‌) মনতুষ্টি লাভ করছেন? ব্যাপারটি অনেকটা না বুঝে বিদেশী ভাষায় গালিগালাজ করবার মতো। কোন ছোট্ট শিশু যদি ইংরেজী ভাষার অদক্ষতা হেতু কাউকে Idiot (ইডিয়ট) বলে সন্মোধন করে বসে, তাহলে কি উক্ত ব্যক্তিটি মর্মাহত হবেন না? কিন্তু শিশুটি যদি তার অদক্ষতাহেতু সে কথাটি বলেই থাকে তাকে তো আর দোষারোপ করা যায় না। কিন্তু বিষয়টি যদি কোন পূর্ণ বয়ষ্ক ব্যক্তি বলে তাহলে নিশ্চয় তা বিচারিত হবার দাবী রাখে।

সে জন্যে বলছিলাম আমাদের উচিৎ কোরআন পড়ে বোঝা প্রয়োজন কি বলা হয়েছে সেখানে। তাহলেই আমরা উপলদ্ধি করতে পারবো কোথায় এবং কার প্রতি তা উচ্চারণ করা যেতে পারে। আল্লাহ্‌ তায়ালা তো কোন মানবীয় ব্যক্তি নন যে, তাঁকে প্রতিনিয়ত ডাল-ভাত দিয়ে তুষ্ট করা যায়। বরং তিনি সারা দুনিয়ার মালিক এবং এ পৃথিবীর সবকিছুই তাঁর নিজস্ব অধীনে রয়েছে। আসুন, এ পর্যায়ে কয়েকটি আয়াত আমরা পড়ে দেখি এবং বিশ্লেষণ করে দেখি এর প্রকৃত নির্যাস।

يَـٰٓأَيُّهَا ٱلنَّبِىُّ إِنَّآ أَحْلَلْنَا لَكَ أَزْوَٰجَكَ ٱلَّـٰتِىٓ ءَاتَيْتَ أُجُورَهُنَّ وَمَا مَلَكَتْ يَمِينُكَ مِمَّآ أَفَآءَ ٱللَّهُ عَلَيْكَ وَبَنَاتِ عَمِّكَ وَبَنَاتِ عَمَّـٰتِكَ وَبَنَاتِ خَالِكَ وَبَنَاتِ خَـٰلَـٰتِكَ ٱلَّـٰتِى هَاجَرْنَ مَعَكَ وَٱمْرَأَةً مُّؤْمِنَةً إِن وَهَبَتْ نَفْسَهَا لِلنَّبِىِّ إِنْ أَرَادَ ٱلنَّبِىُّ أَن يَسْتَنكِحَهَا خَالِصَةً لَّكَ مِن دُونِ ٱلْمُؤْمِنِينَ ۗ قَدْ عَلِمْنَا مَا فَرَضْنَا عَلَيْهِمْ فِىٓ أَزْوَٰجِهِمْ وَمَا مَلَكَتْ أَيْمَـٰنُهُمْ لِكَيْلَا يَكُونَ عَلَيْكَ حَرَجٌ ۗ وَكَانَ ٱللَّهُ غَفُورًا رَّحِيمًا (٥٠) ۞ تُرْجِى مَن تَشَآءُ مِنْهُنَّ وَتُـْٔوِىٓ إِلَيْكَ مَن تَشَآءُ ۖ وَمَنِ ٱبْتَغَيْتَ مِمَّنْ عَزَلْتَ فَلَا جُنَاحَ عَلَيْكَ ۚ ذَٰلِكَ أَدْنَىٰٓ أَن تَقَرَّ أَعْيُنُهُنَّ وَلَا يَحْزَنَّ وَيَرْضَيْنَ بِمَآ ءَاتَيْتَهُنَّ كُلُّهُنَّ ۚ وَٱللَّهُ يَعْلَمُ مَا فِى قُلُوبِكُمْ ۚ وَكَانَ ٱللَّهُ عَلِيمًا حَلِيمًا (٥١) لَّا يَحِلُّ لَكَ ٱلنِّسَآءُ مِنۢ بَعْدُ وَلَآ أَن تَبَدَّلَ بِهِنَّ مِنْ أَزْوَٰجٍ وَلَوْ أَعْجَبَكَ حُسْنُهُنَّ إِلَّا مَا مَلَكَتْ يَمِينُكَ ۗ وَكَانَ ٱللَّهُ عَلَىٰ كُلِّ شَىْءٍ رَّقِيبًا (٥٢) 

বাংলা অনুবাদঃ হে নবী! আমি আপনার জন্য আপনার সেই স্ত্রীদেরকে হালাল করেছি যাদেরকে আপনি তাদের মোহর প্রদান করেছেন এবং হালাল করেছি সেই নারীদেরকেও যাদেরকে আল্লাহ্‌ আপনার মালিকানাধীন করেছেন গণিমত মালরূপে। এছাড়াও বিবাহের জন্য হালাল করেছি আপনার চাচার কন্যা, আপনার ফুফুর কন্যা, আপনার মামার কন্যা, আপনার খালার কন্যাকে যারা আপনার সাথে হিযরত করেছে। আর কোন মু’মিন নারী যদি নবীর কাছে নিজেকে সমর্পণ করে এবং নবী যদি তাকে বিবাহ করতে চান, তবে সেও হালাল। এ আদেশ শুধু আপনার জন্য, অন্য মু’মিনদের জন্য নয়, যাতে আপনার কোন সমস্যা না হয়। মু’মিনদের স্ত্রী ও তাদের মালিকাধীন দাসীদের ব্যাপারে যা নির্ধারিত করেছি, তা আমার জানা আছে। আল্লাহ্‌ অত্যান্ত ক্ষমাশীল ও করুণাময়। ৫১. আপনি তাদের মধ্যে যাকে ইচ্ছা পৃথক রাখতে পারেন এবং যাকে ইচ্ছা কাছে রাখতে পারেন; আর আপনি যাকে পৃথক রেখেছেন, তাকে আবার চাইলে তাতে আপনার কোন গুনাহ্‌ নেই। এতে অধিক আশা করা যায় যে, তাদের চক্ষু শীতল থাকবে, তারা কষ্ট পাবে না এবং আপনি তাদেরকে যা দেন তাতে তারা সবাই সন্তুষ্ট থাকবে। তোমাদের অন্তরে যা আছে আল্লাহ্‌ তা জানেন। আল্লাহ্‌ মহাজ্ঞানীও সহনশীল। ৫২. এরপর আপনার জন্য অন্য কোন নারী হালাল নয় যদিও তাদের সৌন্দর্য আপনাকে মুগ্ধ করে, তবে আপনার অধিকারভুক্ত দাসীদের ব্যাপারে স্বতন্ত্র। আল্লাহ্‌ সর্ব বিষয়ের উপর সজাগ নজর রাখেন (সূরা আহযাব, ৩৩: ৫০-৫২ আয়াত)।

এখানে লক্ষ্যণীয় বিষয়টি হলো আল্লাহ্‌ তার নবীকে একের পর এক নারী বিতরণ করে যাচ্ছেন তার লালসা চরিতার্থ করার জন্যে। কথাটি বলছি এ কারণে যে, আল্লাহ্‌ নবীর কতিপয় স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও তার চাচার কন্যা, ফুফুর কন্যা, মামার কন্যা, খালার কন্যা ছাড়াও অন্যান্য নারী যারা সেচ্ছায় নিজেদের সমর্পণ করতে চেয়েছে তাদের সবাইকে নবীজির ‍জন্যে হালাল করে দিয়েছেন যাতে অন্তত তার কোন অসুবিধা না হয়। দুভ্যার্গক্রমে সেখানে তার খালা উপস্থিত হয়ে নিজেকে সমর্পণ করেছেন নির্দ্ধিধায় যার নাম “খাওলা ইবনে হাকিম।”

হাদীসে (৪৭৪১) উল্লেখ আছে- হযরত হেশামের পিতা ওরওয়াহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, খাওলা বিনতে হাকিম ঐ মহিলাদের একজন ছিলেন- যারা রাসুলুল্লাহ্‌ (সাঃ) এর সামনে বিবাহের জন্য আত্নসমর্পণ করেছিলেন। আয়েশা (রাঃ) বললেন, একজন পুরুষের কাছে নিজেকে সমর্পণ করতে মহিলাদের লজ্জা হয় না? কিন্তু যখন কোরআনের আয়াত “তুরজী মান তাশায়ু মিন হুন্না” অর্থাৎ তোমাকে ( হে মুহাম্মদ!) অধিকার দেওয়া হলো, নিজ স্ত্রীগণের মধ্য থেকে যাকে চাও নিজ থেকে পৃথক রাখ। নাযিল হলো, আয়েশা বললেন, ইয়া রাসুলুল্লাহ্‌ (সাঃ) আমি দেখতে পাচ্ছি আপনার প্রতিপালক আপনাকে খুশী করার জন্য আপনার মর্জি মুতাবেক (হুকুম নাযিল করার ক্ষেত্রে) জলদি করেছেন। (সহীহ্‌ বোখারী, পৃষ্ঠা- ৭১৯ দ্রষ্টব্য)।

মজার  ব্যাপারটি হলো এই যে, আদেশটি শুধুমাত্র মুহাম্মদ (সাঃ) এর জন্য একান্তভাবে প্রযোজ্য, অন্য কারো জন্য নয়। এটি শুধু তার জন্যেই হালাল হয়েছে। বিষয়টি কেন্দ্র করে তখন প্রশ্নবিদ্ধের ঝড় উঠেছিলো সাহাবীদের মনে। সেটিরও উত্তর পাওয়া হাদীস শরীফের বর্ণনায়।

হযরত কাতাদাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আনাস মালেক (রাঃ) বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ্‌ (সাঃ) একই রাতে সকল স্ত্রীর সাথে মিলিত হতেন এবং এ সময় তাঁর সর্বমোট নয়জন স্ত্রী ছিল। (সহীহ্‌ বোখারী, হাদীস নং ৪৮৩৫, পৃষ্ঠা ৭৩২ দ্রষ্টব্য)।

কে কত সক্ষম সঙ্গম কৌশলে এটা কি হতে পারে আল্লাহর বক্তব্য? আল্লাহ্‌ রাব্বুল আলামীন অতি পবিত্র আর সে কারণেই তাঁর নবীদের চিরদিনের প্রচেষ্টা ছিল পবিত্র থাকার। কিন্তু কতজন স্ত্রীর সাথে মিলনের সক্ষমতা অর্জনের তালিকা নির্ণয় করা তো আর পবিত্রতার ঘোষনা বহন করে না সাধারণ মানুষের মনে।  সে কারণেই মনে প্রশ্ন জাগাটা স্বাভাবিক- নবীজির কাজটি কি আসলেই নারী লোলুপতা নয়?

অবস্থাদৃষ্টে মনে হয় আল্লাহ্‌ যেন সর্বদাই নবীর তুষ্টি সাধনে মনোনিবেশ করেছেন নিজের পবিত্রতা ঘোষনার চেয়েও বেশী। তবে এই সূরার ৫২ আয়াতটিতে একটু অন্যরকম সুর বিদ্যমান। এখানে বলা হয়েছে, “এরপর আপনার জন্য আর কোন নারী হালাল নয় যদিও তাদের সৌন্দর্য আপনাকে মুগ্ধ করে, তবে আপনার অধিকারভুক্ত দাসীদের ব্যাপার স্বতন্ত্র। আল্লাহ্‌ সর্ব বিষয়ের উপর সজাগ নজর রাখেন।”

অবাক করার বিষয় এই যে, এতগুলি স্ত্রী ও অন্যান্য নারী ছাড়াও আরো কতিপয় নারীর সৌন্দর্য তাকে মোহিত করতো। যদিও তার অধিকারভুক্ত কতিপয় দাসী তার ভোগের সামগ্রী ছিল। আর সে বিষয়টিতে সতর্ক করা হয়েছে তাকে। স্পষ্টতঃ বলা হয়েছে- “এরপর আপনার জন্য কোন নারী হালাল নয়”….ইত্যাদি। কিন্তু আমরা দেখতে পাই যে তিনি তার স্ত্রীর (হাফসা-র) দাসী মারিয়া কিবতিয়া কে বলপূর্বক ভোগ করেছেন। ফলশ্রুতিতে তার (মারিয়ার) গর্ভে শিশু ইব্রাহীম এর জন্ম হয়েছে।

বিষয়টি হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) তার তাফসীরে ব্যাখ্যা করেছেন এভাবে: “এরপর তোমার জন্য কোন নারী বৈধ নয়। এই সীমারেখার বাইরে কোন মহিলাকে বিয়ে করা তোমার জন্য বৈধ নয়। অন্য ব্যাখ্যায় এসেছে যে, তোমার বিবাহ-অধীন নয়জন স্ত্রী ব্যতীত অন্য স্বাধীন মহিলা বিয়ে করা তোমার জন্য বৈধ নয়। এ আয়াত যখন নাযিল হয় তখন রাসুলুল্লাহ্‌ (সাঃ) এর নয় জন স্ত্রী ছিলেন, তারা হলেন হযরত আবু বকরের কন্যা আয়েশা (রাঃ) হযরত উমর (রাঃ) এর কন্যা হাফসা (রাঃ) হযরত যয়নব বিনত জাহাশ আসাদিয়্যাহ্‌ (রাঃ), হযরত উম্মে সালামা বিনত উমাইয়া মাখযূমী (রাঃ), হযরত উম্মে হাবীবা বিনত আবু সুফিয়ান (রাঃ), হযরত সাফিয়া বিনত হুয়াই ইবনে আখতাব (রাঃ), হযরত মায়মূনা বিনত হারিস হিলালিয়্যাহ্‌ (রাঃ), হযরত সাওদা বিনত যাম’আ ইবন আসওয়াদ (রাঃ)।

এছাড়াও নবীজির ইচ্ছা চরিতার্থ করণে, তার খালা-ফুফুর কন্যারা ছাড়াও যেসব নবীরা এগিয়ে এসেছিলেন তার মধ্যে “খাওলা বিনতে হাকীম” অন্যতম। তিনি সম্পর্কে নবীজির খালা হওয়া সত্ত্বেও রাসুলুল্লাহ্‌ (সাঃ) এর কাছে বিবাহের জন্য আত্নসমর্পণ করেছিলেন। হাদীসটি হযরত হেশামের পিতা ওরওয়াহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত।

এ বিষয়ে বিরক্ত হয়ে হযরত আয়েশা (রাঃ) বললেন- “পুরুষের কাছে নিজেদের সমর্পণ করতে মহিলাদের লজ্জা হয় ‍না”? কিন্তু যখন কোরআনের আয়াত—”তুরজী মান তাশায়ু মিন হুন্না” অর্থাৎ– “তোমাকে (হে মুহাম্মদ) অধিকার দেয়া হল, নিজ স্ত্রীগণের মধ্য থেকে যাকে চাও নিজ থেকে পৃথক রাখ” নাযিল হল, আয়েশা বললেন, “ইয়া রাসুলুল্লাহ্‌ (সাঃ) আমি দেখতে পাচ্ছি আপনার প্রতিপালক (হুকুম নাযিল করা ক্ষেত্রে) জলদি করেছেন।” (সহীহ্‌ বোখারী, হাদীস নয় ৪৭৪১, পৃষ্ঠা ৭১৯ দ্রষ্টব্য)।

বস্তুতঃ নবীজি নারী সঙ্গমে অত্যান্ত পারদর্শী ও সক্ষম ছিলেন তার বর্ণনা আছে হাদীসে। হযরত কাতাদাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন আনাস বিন মালেক (রাঃ) বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ্‌ (সাঃ) একই রাতে সকল স্ত্রীর সাথে মিলিত হতেন এবং এ সময় তার সর্বমোট নয়জন স্ত্রী ছিল (সহীহ্‌ বোখারী শরীফ, হাদীস নং ৪৮৩৫, পৃষ্ঠা ৭৩২ দ্রষ্টব্য)। এছাড়াও তিনি স্বয়ং দাবী করেছেন যে, আল্লাহ্‌ তায়ালা তাকে চল্লিশজন পুরুষের সক্ষমতা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আল্লাহ্‌ তাকে “কাফিত” দিয়েছেন। কাফিত অর্থ হলো ঐশরিক শক্তি যা সঙ্গমকালীন সময়ে ব্যবহৃত হয়। হযরত ইবনে সা’দ এর লেখা আল তাবাকাত গ্রন্থে এর বিশদ ব্যাখ্যা রয়েছে।

হযরত জুওয়াইরিয়্যাহ্‌ বিনত হারিস মুসতালাকিয়্যাহ্‌ (রাঃ) এবং তোমার স্ত্রীদের পরিবর্তে অন্য স্ত্রী গ্রহণও বৈধ নয়, ইতোপূর্বে উল্লেখিত তোমার চাচাত বোন ও মামাতো বোনদের পরিবর্তে অন্য কাউকে গ্রহণ করা যাবে না। অন্য ব্যাখ্যায় বর্তমানে তোমার বিবাহ-অধীন থাকা তোমার স্ত্রীদের কাউকে তালাক দিয়ে অন্য ‍কাউকে বিয়ে করা তোমার জন্য বৈধ হবে না। যদিও ওদের সৌন্দর্য তোমাকে মুগ্ধ করে, অন্য কোন মহিলার রূপ-গুন তোমাকে মুগ্ধ করে, তবে তোমার অধিকারভুক্ত দাসীদের ব্যাপারে এই বিধান প্রযোজ্য নয়, যেমন মারিয়া তিবতিয়্যাহ্‌ (রাঃ) এর ক্ষেত্রে। আল্লাহ্‌ সমস্ত কিছুর উপর, তোমাদের কাজকর্ম সব বিষয়ের উপর তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখেন, সংরক্ষণ করেন (তাফসীরে ইবনে আব্বাস, তৃতীয় খন্ড, পৃষ্ঠা ৭২ দ্রষ্টব্য)।

উল্লেখিত আয়াত ও তাফসীরের সূত্র ধরে আরো বহুদূর গেলেও আমাদের প্রশ্ন পাহাড়তুল্য হবে কিন্তু সন্তুষ্টজনক উত্তর পাওয়া যাবে না। তবে যে কারণে এই বিষয়গুলির অবতারণা, তা হলো- আমরা কি জানি কি লেখা আছে কোরআনে যা আমাদের প্রতিনিয়ত উচ্চারণ করতে হয় (আরবীতে) আমাদের এবাদতের মাধ্যমে? সেই সূত্রে আমরা অনেকবার আল্লাহ্‌ তায়ালাকে বলেছি যে, এরপর অন্য কারো সৌন্দর্যে মুগ্ধ হলেও তারা তোমার জন্যে হালাল নয়।

কারণ, যখন আমরা খতমে কোরআন কিংবা তারাবীর নামাযে দাঁড়িয়ে কোরআনের এই আয়াতের হুবহু উচ্চারণ করি, তখন আমরা তা স্মরণ করিয়ে দেই আল্লাহ্‌ রাব্বুল আলামীনকে। আর এটি কতটুকু যুক্তিপূর্ণ হয়েছে তা মাবুদ আল্লাহই জানেন। বিচারটি তাঁরই উপর ছেড়ে দেই আপাতত। তবে এটুকু নিদ্ধির্ধায় বলা যায় যে, কোরআন বুঝে পড়ার চেয়ে তা পড়ে বোঝাটা অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ।

আরও পড়ুন: কে এই ঈসা আল-মাসীহ্‌

This Post Has 2 Comments

Leave a Reply