You are currently viewing ইসলামে স্ত্রীগণের বিষয়ে শিক্ষা ও পুরুষ প্রাধান্যতা

ইসলামে স্ত্রীগণের বিষয়ে শিক্ষা ও পুরুষ প্রাধান্যতা

  • Post author:
  • Post last modified:May 22, 2021

স্ত্রীগণের বিষয়ে শিক্ষা ইসলামে বিভিন্নভাবে বিভিন্ন পর্যায়ে দৃশ্যমান। জোর করা, বাধ্য করা, প্রয়োজনে বেত্রাঘাত করা ইসলামে জায়েজ হয়েছে বহুপূর্বে। কিন্তু স্ত্রীকে কিভাবে ব্যবহার করতে হবে তাও যদি সুনির্দিষ্টভাবে কোরআনে বর্ণনা করতে হয় তাহলে কোথায় যাবে বেচারা স্ত্রীগণ? তাদের ইচ্ছা থাকুক বা না থাকুক তাদের স্বামীদের তালিম দেওয়া হয়েছে কিভাবে তারা স্ত্রীদের সাথে গমনাগমন করবে, অর্থাৎ সঙ্গম করবে। বিশ্বাস হচ্ছে না? তাহলে নিজেই খুঁজে দেখুন আল্লাহর আয়াতে কি বলে এ বিষয়ে।

এতে বলা হয়েছে-

نِسَآؤُكُمْ حَرْثٌ لَّكُمْ فَأْتُوا۟ حَرْثَكُمْ أَنَّىٰ شِئْتُمْ ۖ وَقَدِّمُوا۟ لِأَنفُسِكُمْ ۚ وَٱتَّقُوا۟ ٱللَّهَ وَٱعْلَمُوٓا۟ أَنَّكُم مُّلَـٰقُوهُ ۗ وَبَشِّرِ ٱلْمُؤْمِنِينَ(223)

উচ্চারণঃ নিসা- উকুম হারছুল লাকুম, ফাতু হারছাকুম আন্না- শি’তুম, ওয়া ক্বাদ্দিমূ লিআনফুসিকূম; ওয়াত্তাকুল্লা- হা- ওয়া’লামূ- আন্নাকুম্ মুলা- কুহু: ওয়া বাশশিরিল্ মু’মিনীন (সূরা বাক্বারাহ ২২৩ আয়াত)।

বাংলা অনুবাদঃ স্ত্রীগণ তোমাদের ক্ষেতস্বরূপ। তোমাদের শস্যক্ষেত্রে যেভাবে ইচ্ছা গমন কর। আর পূর্বাহ্নেই তোমাদের জন্য কিছু করো এবং আল্লাহকে ভয় করো। জানিও আল্লাহর সম্মুখিন হতে যাচ্ছ আর মুমিনদের জন্য সুসংবাদ (মূলঃ হাকীমুল উম্মত হযরত মাওলানা আশরাফ আলী খানভী (রাঃ) অনুবাদিত ও সোলেমানিয়া বুক হাউস- ঢাকা থেকে প্রকাশিত)।

Marmoduke Pickthall রচিত ইংরেজী অনুবাদে বলা হয়েছে এভাবে- “Your women are a tilth for you (to cultivate) so go to your tilth as ye will, and send (good deeds) before you for your soul, and fear Allah, and know that ye will (one day) meet Him, Give glad tidings to believers, (O Muhammad).

আয়াতটির Saheeh International এর ইংরেজি অনুবাদ:Your wives are a place of cultivation [i.e., sowing of seed] for you, so come to your place of cultivation however you wish and put forth [righteousness] for yourselves. And fear Allah and know that you will meet Him. And give good tidings to the believers”.

তাফসীরে জালালাইনের বঙ্গানুবাদ এখানে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তাতে বলা হয়েছে এভাবে- স্ত্রীগণ তোমাদের শস্যক্ষেত্র অর্থাৎ সন্তান উৎপাদনের ক্ষেত্র। অতএব তোমরা তোমাদের শস্যক্ষেত্রে অর্থাৎ তার নির্ধারিত স্থান যোনি-প্রদেশে যেভাবে ইচ্ছা দাঁড়িয়ে, বসে, শুয়ে, সামনে, পিছনে সকল অবস্থায় গমন করতে পার। ইহুদিরা বলত, কেউ যদি যোনিপ্রদেশে পিছন দিক থেকে সঙ্গম করে তবে সন্তান ট্যারা হয়। ঐ ধারণার প্রত্যাখানে এ আয়াত নাজিল হয়। পূর্বাহ্নে তোমরা তোমাদের জন্য কিছু সৎ আমল যেমন গমনের পূর্বে বিসমিল্লাহ্ বলা করে নিও এবং আল্লাহকে তাঁর আদেশ-নিষেধের বেলায় ভয় করিও, আর জেনে রাখ! তোমরা পুনরুথানের মাধ্যমে তাঁর সম্মুখীন হতে যাচ্ছ। অনন্তত তিনি তোমাদের কার্যের প্রতিফল প্রদান করবেন এবং বিশ্বাসীগণকে যারা তাঁকে ভয় করে, তাদেরকে জান্নাতের সুসংবাদ দাও।*  

এ বিষয়ে “প্রাসঙ্গিক আলোচনা” পর্যায়ে বলা হয়েছে- প্রাকৃতিক নিয়ম লঙ্ঘন করা সঙ্গত নয়: পেছনের দিক হতে সামনের পথে সঙ্গত হওয়াকে ইহুদিরা নিষিদ্ধ মনে করতো। তারা বলতো, এর ফলে সন্তান ট্যারা চোখের হয়। এ সম্পর্কে রসুলুল্লাহকে জিজ্ঞাসা করা হলে তখন এ আয়াত নাজিল হয়। অর্থাৎ তোমাদের স্ত্রীগণ তোমাদের জন্য শস্যক্ষেত্র স্বরূপ। তোমাদের বীর্য যেন তার বীজ এবং সন্তান তার ফসল। অর্থাৎ দাম্পত্য সম্পর্কের মুখ্য উদ্দেশ্য সন্তান উৎপাদন ও বংশ রক্ষা। কাজেই তোমাদের এখতিয়ার আছে সামনাসামনি, অথবা পাশাপাশি কিংবা পেছন দিক হতে বা বসা অবস্থায় যে কোনোভাবেই সঙ্গত হতে পারা। তবে হ্যাঁ , বীজ বপন যেন সেই বিশেষ স্থানেই হয়, যেখান থেকে সন্তান উৎপাদনের সম্ভাবনা আছে অর্থাৎ স্ত্রী-যোনিই ব্যবহার করতে হবে, পশ্চাৎদ্বার কিছুতেই নয়। সন্তান ট্যারা চোখের হওয়া  সম্পর্কিত ইহুদিদের ধারণা সম্পূর্ণ ভ্রান্ত ।**

তাফসীরে ইবনে আব্বাসে একই কথার পুনরাবৃত্তি পরিলক্ষিত হয়। এখানে বলা হয়েছে- তোমাদের স্ত্রীরা তোমাদের শস্যক্ষেত্র স্বরূপ, অর্থাৎ তোমাদের স্ত্রীগণ তোমাদের সন্তানদের জন্য আবাদী শস্যক্ষেত্র স্বরূপ। অতএব তোমরা তোমাদের শস্যক্ষেত্রে যেভাবে ইচ্ছা গমন করতে পার। সামনে দিয়ে হোক বা পিছন দিয়ে হোক যতক্ষণ পর্যন্ত তা যৌনাঙ্গে না যাবে এবং পূর্ব থেকেই নেক সন্তানের কামনা করবে। এবং আল্লাহকে ভয় কর স্ত্রীর পশ্চাৎদ্বার ব্যবহার করবে না ও ঋতুবতী স্ত্রীর সাথে সঙ্গম করবে না এবং জেনে রাখ, নিশ্চয় তোমরা মৃত্যুর পর তাঁর সাক্ষাত পাবে, যেখানে তিনি তোমাদের কর্ম হিসেবে ফল দান করবেন। হে মুহাম্মদ! আপনি ঐ লোকদের যারা তাদের স্ত্রীদের পশ্চাদ্বারে গমন করেনি ও স্রবের সময়ে সঙ্গম করেনি, সে সব মুমিনদেরকে জান্নাতের সুসংবাদ দিন। *** 

আল্লাহর বাণীঃ তোমাদের স্ত্রীগণ তোমাদের জন্য শস্যক্ষেত্র।

(৪১৭০) হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রাঃ) এর আবাদকৃত ক্রীতদাস নাফে থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রাঃ) যখন কোরআন পাঠ শুরু করতেন, তখন শেষ না করা পর্যন্ত কারো সাথে কথা বলতেন না। আমি একদিন তাঁর কাছে গেলাম, তিনি তখন সূরা বাক্বারাহ পাঠ করছিলেন, পড়তে পড়তে তিনি এ আয়াত (নিসায়কুম হারছুল লাকুম) পর্যন্ত পৌঁছে আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, জান, কি বিষয়ে আয়াতটি নাযিল হয়েছে? আমি বললাম, না। তখন তিনি বললেন, অমুক অমুক বিষয়ে নাযিল হয়েছে। তারপর তিনি আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, “ফাতু, হারছাকুম” আয়াতটি স্ত্রীদের সাথে পিছনের দিক দিয়ে যৌনক্রিয়া বিষয়ে নাযিল হয়েছে। কারণ কেউ কেউ এ কাজ করতো।

(৪১৭১) হযরত জাবের (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইয়াহুদীরা বলত যে, স্ত্রীর সাথে পিছনের দিক দিয়ে সঙ্গম করলে সন্তান বক্রদৃষ্টি বা বিকলাঙ্গ হয়। তাই আল্লাহ্ তায়ালা এ ভ্রান্ত ধারণা- অপনোদন করে অত্র আয়াত নাযিল করলেন- “তোমাদের স্ত্রীগণ তোমাদের জন্য শস্যক্ষেত্র। তোমরা যেভাবে ইচ্ছা তোমাদের কৃষিক্ষেত্রে গমন কর।

একটা পরিচ্ছন্ন চিন্তা-ভাবনা আর শালীনতা বজায় রেখে সভ্য জগতে মানুষের বিচরণ। সেই সভ্য মানুষকে যদি অসভ্য আয়াত দিয়ে অসভ্যতা শেখানো হয় আল্লাহর নামে, তাহলে কারো বুঝতে কষ্ট হবে না এসব মন্দ আর অশ্লীল কার্য প্রণালী কার হাত রয়েছে সবচেয়ে বেশী। এটাই যদি হয়ে থাকে কোরআনের পবিত্র আয়াত তাহলে একটু ভেবে দেখবার বিষয় বৈ কি আয়াতের উৎসটি কোথা থেকে আগত।

আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিন তার “আশরাফুল মাখলুকাত” অর্থাৎ সৃষ্টির সেরা জীবকে শ্রেষ্ঠ বুদ্ধি-বিবেক ও প্রজ্ঞা দিয়ে পাঠিয়েছেন এ জগতে। তাঁর সেই শ্রেষ্ঠ জীবকে কি তাঁর এ সব কলা-কৌশলের তালিম দিতে হবে কোরআনের ভাষায়? আর সেই ভাষার বদৌলতে আমরাও যে কতবার আল্লাহ্ তায়ালাকে শিখিয়েছি এসব কলা-কৌশল মধুর উচ্চারণে তার ঠিক নেই। কোরআন খতমে, নামাজের জায়নামাজের বক্তিতা-বিবৃতিতে আমরা আজো করে চলেছি এ আয়াতের ওয়াজ-নসিয়ত। আরবী ভাষায় মর্মার্থ না জানার কারণে আরবীয় উচ্চারণের সুমধুর সুরে আমরা এইসব অকথ্য ভাষায় নামায আদায় করে চলেছি দিনের পর দিন। সেইসাথে তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলে আমল-নামার দাড়িপাল্লায় ওজন বাড়িয়েছি শতগুণ।

একটু ভেবে দেখুনতো, এই আয়াতটিই যদি মাতৃভাষায় উচ্চারিত হয় নামাজের সারিতে তাহলে কি হতে পারে পরিণতি? কেউ কি তখন চোখ-কান বন্ধ করে বসে থাকবে? নিশ্চয় না। কারণ তার চৈতন্যের দরজায় এর টোকা পরবেই পরবে।

একেই বলে মুখস্ত বিদ্যার ফুলঝুরি। আমরা অনবরত বলে যাই আরবী আয়াত সমূহ এর আসল মর্ম অনুধাবন না করেই। ধর্মীয় অনুশাসনের ভারী জোয়ালে আবদ্ধ আমরা সবাই। তাই বুঝিনা এর মর্মার্থ। কিন্তু তা সুর করে শোনাই মহান আল্লাহ্ তায়ালাকে। সেইসাথে দাবী করি দশগুণ নেকী লাভের আনন্দ। উল্লেখিত আয়াতটি নিজ ভাষাতেই বলে দেখুন না আপনার স্ত্রী-কন্যাদের। আর দেখুন আদৌ তারা পুলকিত হয়ে ওঠে কিনা!

এসব ইসলামের রীতি-নীতিতে নারীর মর্যাদা ক্ষুন্ন করা হয়েছে বারে বারে। স্ত্রী-র প্রতি স্বামীর ভালোবাসা, শ্রদ্ধার পরিবর্তে তাদের শেখানো হয়েছে কত সহজে স্ত্রী-কে তালাক দেওয়া যায়। আর এক স্ত্রী-র পরিবর্তে চার স্ত্রী-র জায়েজ থাকার বিষয়টি কারো অজানা নয়। সমতা বা সমান অধিকার থাকার কথা ছিল স্বামীদের তালাক দেবার ব্যাপারে। কিংবা চারটি বিবাহ করার বিষয়ে। এর পরিবর্তে তাদের  ভূমিকা হয়েছে স্বামীর সঙ্গম লীলার মাধ্যম হবার। এখানে আল্লাহ্ কেনো যে মুখ ফিরিয়ে রেখেছেন রমণীদের কাছ থেকে তা তিনিই জানেন।

তবে আমার আগাধ বিশ্বাস আল্লাহ্ এ কাজটি করেন নাই। অর্থাৎ তিনি লিখেন নাই এই আয়াতটি। পরিবর্তে কাজটি করেছেন আল্লাহর খাস বান্দারা যাদের মস্তিষ্কের চিন্তা-চেতনায় ঘাটতি রয়েছে কিছু। যারা আল্লাহর নাম বিক্রি করে বান্দার কাছে আবির্ভূত হয়েছেন অভিনব আয়াতের কারসাজিতে, তারা এখনো ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। মহান আল্লাহ্ তায়ালা পুরুষ ও মহিলা দু’জনকেই সৃষ্টি করেছেন, একটু ভিন্ন বৈশিষ্ট্যে আর আকারে।

কাউকে তিনি খাটো করেনি কারো কাছে। পুরুষ তার সহজাত প্রবৃত্তিতে সর্বদাই চেষ্টা করেছে নারীকে দমন করতে, ভিন্নভাবে ব্যবহার করতে। আর নারী তার সভাষ সুলভ নম্রতার বশবর্তী হয়ে সঙ্গ দিয়েছে, সমর্পিত হয়েছে পুরুষের কাছে। দু’জনের মধ্যে পারস্পরিক সম্মান, ভালোবাসা, সম্প্রীতির বদলে পুরুষের কৌশলে বন্দী হয়েছে নারী। আর ক্রীতদাসীর মতো নিরবে মুখ বন্ধ করে সহ্য করেছে পুরুষের অত্যাচার, অবিচার। অনেক সময়ে মান-সম্মান হারিয়ে পুরুষের শিকার হয়েছে নারীরা। তাদেরকে এভাবে জীবন বিলিয়ে দিয়ে পুরুষকে তৃপ্ত করার জন্যই কি সৃষ্টি করা হয়েছে? অবশ্যই না।

তাই বলছিলাম- কোরআন পড়ে বোঝা উচিত কি বলা হয়েছে তাতে। এতে যদি জীবন বিধানের প্রকৃত নির্দেশনা না থেকে থাকে কি রয়েছে তাতে? শুধুই কি সঙ্গমের কলা-কৌশল? তাও আবার পড়ে শোনাতে হবে স্রষ্টাকে? নাউজুবিল্লাহ্! আসতাগফিরুল্লাহ।

আমরা যখন এইসব আয়াত মধুর সুরে তেলাওয়াত করি তাঁর উদ্দেশ্যে, তখন কি আল্লাহ্ পাক তা শোনার জন্য উদগ্রীব হয়ে থাকেন বলে মনে হয় আপনার? তাই বলছিলাম কোরআন পড়ে বুঝুন কি লেখা রয়েছে তাতে। আর চিন্তা করে দেখুন কার কথা আমরা কাকে বলছি?

বস্তুতঃ ধর্মের মার-প্যাঁচে ধর্মীয় শিক্ষকেরা বেঁধে রেখেছেন মানব জাতিকে। তাই তারা আজো অন্ধকারের কারাগারে বন্দি। তাদের অধিকারকে জব্দ করা হয়েছে মুক্ত চিন্তার প্রসারে। সে কারণেই আমাদের উচিৎ হবে মুক্ত চিন্তা আর চেতনাকে কাজে লাগিয়ে সত্যের আলোয় ডানা মেলার। আসুন অন্নেষণ করি সত্যকে আর মুক্ত হই অন্ধকার কারাগার থেকে। মহান আল্লাহ্ তায়ালা ভালবাসেন আমাদের সবাইকে। তিনি চান না যেন আমরা অন্ধকার কারাগারে বিচরণ করি চিরদিন। আমাদেরকে ভালবেসে তিনি তাঁর রুহানী পুত্র ঈসা আল্-মাসীহ্ কে পাঠিয়েছিলেন এ জগতে, যেন তিনি আমাদের পাপের মূল্য হিসেবে নিজেকে কোরবানী করেন। আর তাঁর সেই কর্ম সাধনের মধ্যে দিয়ে যেন মানব জাতি পেতে পারে মুক্তির ঠিকানা। তিনি শুধু মুসলিম, খ্রীষ্টান, হিন্দু, বৌদ্ধ ধর্ম অনুসারীদের জন্যে এ কাজটি করেন নাই, করেছেন মানব জাতির জন্যে।

আজকে আপনি যদি তাঁর কাছে সমর্পিত হন, তিনি নিশ্চয়ই আপনাকে পাপের সমস্ত অপরাধ থেকে উদ্ধার করবেন। মন খুলে একবার তাঁকে নিজ মাতৃভাষায় বলে দেখুন তিনি আপনার ডাকে সাড়া দেন কিনা। নিরবে অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে তাঁকে একবার ডেকেই দেখুন। আমার বিশ্বাস তিনি আপনার ডাকে সাড়া দিয়ে উদ্ধার করবেন আপনাকে অন্ধকার থেকে সত্যের আলোয়।

তথ্য সুত্র:
* সূরা বাক্বারাহ্ ২২৩ আয়াত। তাফসীরে জালালাইন, পৃষ্ঠা ৪৮৫, ইসলামিয়া কুতুবখানা ঢাকা হইতে মুদ্রিত, দ্রষ্টব্য।
** তাফসীরে উসমানী
*** তাফসীরে ইবনে আব্বাস, ১ম খন্ড, পৃষ্ঠা নং ১০৬ দ্রষ্টব্য। সহীহ্ বোখারী শরীফে (পৃষ্ঠা ৬২৩) বিষয়টি বর্ণিত।

This Post Has One Comment

Leave a Reply