You are currently viewing কোরআন নাযিল হওয়ার অসত্য কাহিনী

কোরআন নাযিল হওয়ার অসত্য কাহিনী

  • Post author:
  • Post last modified:April 30, 2022

কোরআন নাযিল হওয়া নিয়েও অনেক প্রশ্নের মুখোমুখী হতে হয় অনেককে। কারণ, বলা হয়ে থাকে শবে কদর এর রাত্রে (২৭শে রোজার যে রাত্রিটিকে শবে কদর বা নেয়ামতের রাত্রি বলে বিবেচিত করা হয়) কোরআন অবতীর্ণ হয়েছে। অথচ আমরা যদি ইতিহাসের পাতায় চোখ রাখি, দেখা যাবে মুহাম্মদ (সাঃ) এর মৃত্যুর ২১ বছর পর তৃতীয় খলিফা ওসমানের শাসনামলে, তারই নেতৃত্বে কোরআন সংকলিত করা হয়েছে। বিভিন্ন সূত্র থেকে তা সংগ্রহ করা হয়েছে আবার বিভিন্ন সূত্র থেকে আসা আয়াতসমূহ পরিত্যাগ করা হয়েছে। সেটি হয়েছিল হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর মৃত্যুর ২১ বছর পরের ঘটনা। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আয়েশার সাথে ও আলীর সাথে ওসমানের মতবিরোধ দেখা যায়। কারণ তাদের দু’জনের পান্ডলীপিই স্থান পায় নাই ওসমানের সংগৃহীত কোরআনে। অথচ পূর্ববর্তী অন্যান্য সংগ্রহগুলীকে একত্রিত করে ওসমান তা আগুনে পুড়িয়ে নিশ্চিন্ন করেছেন। এমনকি দ্বিতীয় খলিফা ওমর আল-খাত্তাব এর কন্যা হাফসার কাছে রক্ষীত (যা ওমর তার কাছে সযত্নে রেখেছিলেন) ছিল তাও ওসমান কৌশলে তার কাছ থেকে হস্তগত করে নিশ্চিন্ন করেছেন অগ্নিদাহে।

এসব তথ্য জানার পরও কি আমরা বলতে পারি কোরআন নাযিল হয়েছে শবে কদরের রাতে? কেউ কেউ আবার পন্ডিতি ভঙ্গিতে বলেন- সেই রাত্রিতে আংশিক কোরআন নাযিল হয়েছে। তা হোক, কিন্তু সমগ্র বিষয়টি যখন অর্ধ-সত্যের আবরণে ঢেকে দেওয়া হয় তখন কি তাতে বিভ্রান্তির জন্ম দেয় না? আমরা কি সত্য প্রকাশে ভীত না অক্ষম? কার রক্তচক্ষুর ভয়ে আমরা হেঁটে চলেছি মিথ্যার ঘনকালো অন্ধকারের পথে? কেনো এই অসত্যের মায়াজালে বন্ধী আমরা? আমাদের ভয় কি আল্লাহকে যিনি ক্ষমাশীল, করুণাময়। নাকি আমাদের প্রকৃত ভয় মুহাম্মদের ধারালো অস্ত্রের ঝল্‌কানিতে? ব্যাপারটি স্থির বুদ্ধিতে ভেবে দেখুন এবং অন্ধকার থেকে আলোকিত পথে বেরিয়ে আসুন সত্য অন্নেষণের দৃঢ়তায়।

Leave a Reply