You are currently viewing কোরআন আবির্ভাবের ইতিহাস (৪র্থ খণ্ড)

কোরআন আবির্ভাবের ইতিহাস (৪র্থ খণ্ড)

  • Post author:
  • Post last modified:August 11, 2021

কোরআন সাতটি বচন (হরফের) উপর অবতীর্ণ হয়েছেঃ

বীন ও প্রবীণ সব ধর্ম বিশারদরা (Scholars) সম্মত হয়েছেন একটি বিষয় নিয়ে। তারা সবাই নবীজির (সাঃ) বক্তব্যের উপর নির্ভর করেছেন যা বুখারী ও অন্যান্য কিতাবে নথিভুক্ত আছে। মুহাম্মদ (সাঃ) এর বক্তব্য অনুযায়ী, তিনি বলেছেন– জিব্রাইল আমাকে একটি বচনে বা হরফে পড়ালেন, আমি তখন তাঁর সাথে পরামর্শ করলাম এবং আরো কতিপয় বচনে তা চাইলাম যতক্ষণ না তিনি আমাকে সাতটি বচন ভঙ্গিমায় তা দিলেন (বুখারী ৬ষ্ঠ খন্ড, পৃষ্ঠা ২২৭ এবং ইতকান ১ম খন্ড, পৃষ্ঠা ১৩১ দ্রষ্টব্য)।

সূয়ুতি বলেছেন যে, এই বক্তব্য বুখারী এবং সহীহ্‌ মুসলিম এ ইবন আব্বাসের উদ্ধৃতিতে প্রকাশ পেয়েছে। এছাড়াও ইবন আব্বাসের তথ্যমতে (৯১ম খন্ড, ‍পৃষ্ঠা ১৩২) মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন– আমার প্রভু আমাকে একটি বচনে পড়তে বলেছেন। আমি তাঁকে এটা আরো সহজ করতে বললাম যাতে আমার লোকদের জন্য তা সহজ হয়। তিনি আমাকে উত্তরে বললেন, তাহলে দুইটা বচনে পড়। আমি আবারও অনুরোধ করলাম, তখন তিনি তা সাতটা বচনে পাঠালেন। জিব্রাইল এবং মিখাইল আমার সাথে দেখা করলো। জিব্রাইল আমার ডানদিকে বসলো এবং আমাকে একটি বচনে কোরআন পড়তে বললো। মিখাইল বললো–  আরো দিন যতক্ষণ না তা সাতটি বচনে পৌঁছে।

উল্লেখিত বক্তব্যসমূহ নবীজির নিজের। কিন্তু এ দিয়ে ওমর ও হিশামের মধ্যে বিরোধ তুঙ্গে উঠেছিল এক সময় (বুখারী ৬ খন্ড, পৃষ্ঠা ৪৮২ দ্রষ্টব্য)। এ বিষয়ে ওমর ইবন আল-খাত্তাব বলেছেন, আমি শুনলাম ইবন হাকিম আল ফুরকান তেলাওয়াত করেছিলেন এবং আমি খেয়াল করলাম যে তিনি সাতটি বচনে তেলাওয়াত করলেন যা আল্লাহর রসূল আমাকে শেখান নাই। তার এবাদত শেষ করতেই আমি ততৎক্ষাৎ তার উপর ঝাঁপিয়ে পড়তে চাইলাম। আমি বললাম–  কে তোমাকে এই সূরা দিয়েছে যা তুমি এতক্ষণ তেলাওয়াত করলে? তিনি বললেন–  আল্লাহর রসূল আমাকে তা শিখিয়েছেন। আমি বললাম–  তুমি তাঁর সম্পর্কে মিথ্যা বলেছো কারণ তিনি তা আমাকে শিখিয়েছেন ভিন্নভাবে। এরপর আমি তাকে নবীজির কাছে টেনে নিয়ে গেলাম এবং তাঁকে বললাম- এই ব্যক্তি সূরা আল-ফুরকান ভিন্নভাবে পড়ছে যা আপনি আমাকে শেখান নাই। আল্লাহর রসূল তখন বললেন, এটা দুষ্টভাবে নাজিল হয়েছে। এই কোরআন সাতভাবেই তেলাওয়াত করার জন্য নাজিল হয়েছে। সুতরাং, তেলাওয়াত কর তা যেভাবে তোমার কাছে সহজ মনে হয়।

ডঃ সালাবির বই এর ৪০ পৃষ্ঠায় একই ঘটনার অবতারণা করা হয়েছে। এটা একটা মজার ব্যাপার এই জন্যে যে, আল্লাহর নবী নিজে তার ভিন্নতার কারণে ওমর হিশামের সাথে র্দুব্যবহার করেছেন। 

আরও জানুন: কোরবানী প্রসঙ্গ ও আমাদের বিভ্রান্তিমূল ব্যাখ্যা

This Post Has One Comment

Leave a Reply