You are currently viewing সাফা-মারওয়ার মাঝে দৌড়াদৌড়ি

সাফা-মারওয়ার মাঝে দৌড়াদৌড়ি

  • Post author:
  • Post last modified:May 22, 2021

গেই বলেছি সুমধুর সুরে কোরআন পড়ে যাওয়ার চেয়ে কোরআন পড়ে তা বোঝা উচিৎ কি আছে সেখানে। অজানা আরবী তত্তের মার-প্যাঁচে চ্যাপ্টা হয়ে গেছে আমাদের ইসলামী জীবন। আমরা সুমধুর সুরে পড়ে যাই কোরআনের বিবিধ সূরা অথচ কখনো ভেবে দেখি নাই কি আছে এসব তত্ত্বে ও তথ্যে। আসুন দেখা যাক কি আছে এর অন্তরালে। সুরা বাকারার ১৫৮ আয়াতে বলা হয়েছে-

۞ إِنَّ ٱلصَّفَا وَٱلْمَرْوَةَ مِن شَعَآئِرِ ٱللَّهِ ۖ فَمَنْ حَجَّ ٱلْبَيْتَ أَوِ ٱعْتَمَرَ فَلَا جُنَاحَ عَلَيْهِ أَن يَطَّوَّفَ بِهِمَا ۚ وَمَن تَطَوَّعَ خَيْرًا فَإِنَّ ٱللَّهَ شَاكِرٌ عَلِيمٌ

এখানে বলা হয়েছে যে, সাফা-ও মারওয়ার মাঝে দৌড়াদৌড়ি করাটা রুকন অর্থাৎ বাধ্যতামূলক নয়। যদিও প্রথানুযায়ী হজ্বের সময়ে প্রত্যেকে এ কাজটি করে থাকেন। এই রীতিটি প্রাক্ ইসলামী যুগে মুশরিকরা অনুসরণ করে আসতো। এটা বোধগম্য নয় কেন নবীজি তা ইসলামে বজায় রেখেছেন। আল্লাহর এবাদতের সাথে এর কোন সম্পর্ক নেই। অথচ তা প্রথানুযায়ী প্রচলিত রয়েছে আজ অবধি।

সাফা ও মারওয়া হলো দু’টি পাহাড় যা মক্কায় অবস্থিত। এই রীতি-নীতি অনুসরণ করতে গিয়ে মুসুল্লিগণকে দ্রুত ৭ বার হাঁটা বা দৌড়াতে হয় হজ্জ্বকালীন সময়ে। এটা মুশরিকদের একটি প্রাচীন অনুশীলন প্রক্রিয়া। কেন তবে আল্লাহর এবাদতকালে আমাদের তা করতে হবে?

কোরআনের ভাষায়- “সাফা ও মারওয়া আল্লাহর নিদর্শন সমূহের অন্যতম। অতএব যে কেউ কা’বা গৃহে হজ্জ্ব কিংবা ওমরাহ্ করে এ দু’টি (পাহাড়ের) তাওয়াফ করলে তাদের কোন পাপ নেই, এবং যে স্বতস্ফূর্তভাবে, সৎকর্ম করে, (তাকে) আল্লাহ্ পুরষ্কার দেন ও (তিনি) সবজ্ঞ। কোরআনের ইংরেজী অনুবাদে ব্যাপারটি এভাবে ব্যক্ত করেছেন দু’জন বিশিষ্ট অনুবাদক। আসুন দেখা যাক তারা কি বলেন এ ব্যাপারে।

Pickthall translates in English: “Lo! (the mountains) Al- Safa and Al- Marwah are among the indications of Allah. It is, therefore, no sin for him who is on pilgrimage to the House (of God) or visiteth it, to go around them (as the pagan custom is). And he who doeth good of his own accord (for him), Allah is Responsive, Aware. 

Dr. Ghali translates: Surely, ÉAs-Safa and Al-Marwah (i.e. two hills near the Kacbah) are among the waymarks of Allah. So whoever makes the Pilgrimage (i.e. Hajj) to the Home, or makes the Visitation, (cUmrah, sometimes called the minor pilgrimage) then there is no fault in him to circumambulate them; and whoever volunteers any (optional) charity, then surely Allah is Thankful, Ever-Knowing.

Tafsir al-Jalayn- English: The Safa and Marwa, two mountains near Macca, are among the waymarks (sha’air, plural of sha’tra) of God, the [ritual] ceremonies of His religion, so whoever makes the pilgrimage to the Home, or the visitation, that is, whoever prepares, to perform the pilgrimage (haj) or the visitation [umra]: the original sense of both terms [hajja and I’tamara] is to aim for and to visit: respectively; he would not be at fault, [it would not be] a sin, if he circumambulation them (the original ta), by pacing quickly (saiy) between them seven times: this was revealed when the Muslims were averse to this [ circumambulation= is the act of moving around a sacred object or ido] I because the pagan Arabs used circumambulation them, and there was an idol atop each mountain which they used to strike.

It is reported from Ibn Abbas that this pacing [between the two] is not obligatory, as based on the fact that when no sin can be incurred, the context implies free choice. Al-Shafi and others, however, considered to be pillars [of the pilgrimage rituals].

The prophet made clear its obligation aspect when he said that, God has prescribed for you the pacing [sa’y], as reported by al-Bayhag and others; and he [the prophet] also said ‘Begin with what God has begun, meaning al-Safa, as reported by Muslim; and whoever volunteers (tawa’a: a variant reading is yattawa; the ta here being assimilated) good, that is, any good deed such a circumambulation or other, that is not obligatory on him; God is Grateful, for such a deed and rewards that person for it, knowing it.

তাদের প্রত্যেকের বক্তব্যনুযায়ী এই প্রক্রিয়াটি মূর্তি পুজারীদের প্রক্রিয়া। তা ইসলামেও প্রথা হিসেবে গৃহিত হয়েছে। তবে এই কাজটি করা বাধ্যতামূলক নয়। তবে কি ধরে নিতে হবে যে, আল্লাহকে আমরা প্রথাগত রীতি অনুযায়ী এবাদত করি? আল্লাহ্ কি সাফা-মারওয়াতে বন্দী যে, সেখানে ছুটাছুটি করলেই তাঁর সান্নিধ্য পাওয়া যাবে?

এটা যদি মুশরিকদের মুর্ত্তি পুজার একটি প্রক্রিয়া হয়ে থাকে তবে তা আমাদেরকে করতে হবে কেন? এইসব প্রক্রিয়া পালনেই কি আমাদের অনেক অর্থ অপচয় করে হাজার হজার মাইল দূরের সেই স্থানটিতে যেতে হয় আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার আশায়? হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে একটি বর্ণনা পাওয়া যায় যে, জাহেলী যুগে ‘সাফা’ পাহাড়ের ওপর ‘ইসাফ’ এবং ‘মারওয়াহ’ পাহাড়ের ওপর ‘নাযিলা’ নামক দু’টি মূর্তি স্থাপিত ছিল। মুশরিকরা দু’পাহাড়ের মাঝে দৌড়াত এবং এ মূর্ত্তিদ্বয়কে চুম্বন করতো এবং এদের পূজা করতো। ফলে হজ্বের সময় মুসলমানগণ সাফা ও মারওয়ার মাঝে ‘সাঈ’ করবে কিনা এ ব্যাপারে সংশয় দেখা যায়। তখন উল্লেখিত আয়াত নাযিল হয় (ইবনে কাসারী)।

এ ব্যাপারে সহীহ্ বোখারীতে বলা হয়েছে- আসিম থেকে বর্ণিতঃ আমি আনাস বিন মালিককে জিজ্ঞাসা করলাম: “আপনি কি সাফা ও মারওয়ার মাঝে তারওয়াফ করাকে অপছন্দ করেন”? তিনি বললেন-হ্যাঁ, এটা যেন প্রাক্ ইসলামিক যুগে অবজ্ঞাপূর্ণ একটি আচারপ্রণালী ছিল যতক্ষণ না আল্লাহ্ তা প্রকাশিত করেছেন। সত্যিই! সেই দু’ইটি পাহাড় আস-সাফা এবং আল-মারওয়া আল্লাহর প্রতিকসমূহ। সুতরাং, যারা হজ্জ্ব পালন করে কিংবা ওমরাহ্ পালন করে তাদের জন্য তা তাওয়াফ করা কোন পাপ কাজ নয় (সহীহ্ বোখারী ২ঃ ২৬,৭১০ দ্রষ্টব্য)।

এই হাদীসের মধ্য দিয়ে এটা পরিষ্কার যে, মুহাম্মদ (সাঃ) এই আচারপ্রণালী প্রাক্ ইসলামিক যুগের মুশরিকদের কাছ থেকে গ্রহণ করেছেন এবং কোরআনের ভাষায় প্রত্যাদেশে তা সংযোজন করেছেন।

পৌরাণিক কথানুযায়ী জানা যায় যে, হাগার বা বিবি হাজেরা (ইসমাইলের মা) ইব্রাহীমের বাঁদী যার গর্ভে ইসমাইলের জন্ম হয়; পানির অন্নেষণে এই দুই পাহাড়ের মাঝে ছুটাছুটি করেছেন যতক্ষণ না তিনি জমজম কূপ খুঁজে না পান। বিষয়টির বাস্তবতা খন্ডন হয় দু’টি যুক্তিতে।

প্রথমতঃ খ্রীষ্টপূর্ব দুইহাজার বছরেরও পূর্বে তাঁর অবস্থান ছিল যখন জমজম আবিষ্কার হয় নাই। দ্বিতীয়তঃ যদি তা সত্যি ধরে নেওয়া হয়, তবুও আমাদেরকে দেবতার সন্তুষ্ট অর্জনে এই দুই পাহাড়ের মাঝে ছুটাছুটি করতে হয় কেন তা বোধগম্য নয়। ইতিপূর্বে উল্লেখিত হয়েছে যে, ওই দুই পাহাড়ে ইসাফ ও নাযিল নামক দু’টি প্রতিমা স্থাপিত ছিল। সেই দুই দেবতাকে সন্তুষ্টির জন্যে কি বিবি হাজেরাকে ছুটাছুটি করতে হয়েছিল? এখন সেখানে কোন দেবতার অবস্থান কে জানে! এখনও তবে কোন উদ্দেশ্যে সেই ছুটাছুটি করতে হবে আমাদেরকে?

কুরাইশ মুশরিকদের থেকে পাওয়া এই আচারবিধি পরবর্ত্তীতে আমাদের মাঝে প্রচলিত হয়ে আজো বহাল তবিয়তে রয়েছে। এতে আল্লাহ্ তায়ালার কতটুকু সান্নিধ্য পাচ্ছি আমরা তা আল্লাহই বলতে পারেন। আর পারে আমাদের বিজ্ঞবান আল্লাহর বান্দারা।

এবার দেখা যাক হাদীস এই সাফা-মারওয়ার মাঝে দৌড়াদৌড়ির বিষয়ে কি বলে। সহীহ্ মুসলিম শরীফ, হাদীস নং ২২১৭ হযরত উরওয়া (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আয়েশা (রাঃ) কে বললাম, আমি মনে করি কোন ব্যক্তি সাফা-মারওয়া পাহাড়দ্বয়ের মাঝে সাঈ না করলে তার কোন ক্ষতি হবে না। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন কেন? আমি বললাম, কেননা আল্লাহ্ তায়ালা বলেছেনঃ “সাফা মারওয়া আল্লাহর নিদর্শন সমূহের অন্যতম” (সূরা বাকারা ১৫৮)। তখন আয়েশা(রাঃ) বললেন, কোন ব্যক্তি সাফা-মারওয়ার মাঝে সাঈ না করলে আল্লাহ্ তার হজ্জ ও উমরা পূর্ণ করেন না। তুমি যা বলেছ যদি তাই হত তবে আয়াতটি এভাবে হতো: ঐ দুই পাহাড়ের মাঝে না দৌড়ালে কোন অসুবিধা নেই। “তুমি কি জান ব্যাপাটি কি ছিল? ব্যাপার তো ছিল এই যে, আনসারগণ জাহিলী যুগে দু’টি প্রতিমার নামে সমুদ্রের তীরে ইহরাম বাঁধত। একটির নাম ইসাফ, অপরটির নাম নায়েলা।

তারা এসে সাফা-মারওয়া সাঈ করত। অতঃপর মাথা কামাতো। ইসলামের আবির্ভাবের পর তারা জাহিলী যুগে যা করত সে কারণে সাফা-মারওয়ার মাঝে সাঈ করা খারাপ মনে করল। তাই আল্লাহ্ তায়ালা নাযিল করলেন: “সাফা-মারওয়া আল্লাহর নিদর্শন সমূহের আন্যতম” অতঃপর লোকেরা সাঈ করে।

হাদীস নং ২২১৮ঃ হযরত উরওয়া ইবনে যুবায়র (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নবী করীম (সাঃ) এর সহধর্মিনী আয়েশা (রাঃ) কে বললাম, কোন ব্যক্তি সাফা-মারওয়ার মাঝে সাঈ না করলে এতে আমি দোষের কিছু দেখি না এবং আমি নিজেও এতদুভয়ের মাঝে সাঈ বর্জন করায় কিছু মনে করি না। আয়েশা (রাঃ) বললেন, হে বোন পুত্র! তুমি যা বলেছ তা মন্দ বলেছ। রসুলুল্লাহ্ (সাঃ) সাফা-মারওয়ার মাঝে তাওয়াফ (সাঈ) করেছেন এবং মুসলমানরা তাওয়াফ করেছে। অতএব তা সুন্নাত। যেসব লোক (জাহিলী যুগে) মুশাল্লাল নামক স্থানে অবস্থিত নাফরমান বানাত দেবীর নামে ইহরাম বাঁধত তারা সাফাও মারওয়ার মাঝে তাওয়াফ করত না। ইসলামের আবির্ভাবের পর আমরা নবী করিম (সাঃ) এর নিকট এই সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছি। তখন আল্লাহ্ তায়ালা নিম্নোক্ত আয়াত নাযিল করেনঃ সাফা-মারওয়া আল্লাহর নিদর্শন সমূহের অন্যতম। সুতরাং যে কেউ কা’বা ঘরে হজ্ব কিংবা উমরা পালন করে এ দু’টির মধ্যে প্রদক্ষিণ করলে এতে তার কোন পাপ নেই (সূরা বাকারা ১৫৮) তুমি যা বলেছ-ব্যাপারটি যদি তদ্রপ হত তবে বলা হত, “এ দুটির মধ্যে প্রদক্ষিণ না করলে তার কোন পাপ নেই।”

হাদীস নং ২২১৯ অনুযায়ীঃ হযরত উরওয়া ইবনে যুবায়ব (রাঃ) থেকে বর্ণিত, আয়েশা (রাঃ) তাকে অবহিত করেছেন যে, আনসার সম্প্রদায় ও গাসসান গোত্রের নিয়ম ছিল-তারা ইসলাম গ্রহণের পূর্বে মানাত দেবীর জন্য ইহরাম বাঁধত।

অতঃএব তারা সাফা-মারওয়ার মাঝে সাঈ (তাওয়াফ) করাকে পাপ মনে করতো। এটা ছিল তাদের পূর্ব পুরুষদের রীতি যে তাদের কোন ব্যক্তি মানাত দেবীর জন্য ইহরাম বাঁধলে সাফা-মারওয়ার মাঝে তাওয়াফ করতো না। তারা ইসলাম গ্রহণের পর রসুলুল্লাহ্ (সাঃ) এর নিকট এ সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তখন এই প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ্ নাযিল করেনঃ “সাফা-মারওয়া আল্লাহর নিদর্শন সমূহের অন্যতম”। অতএব যে কেউ বায়তুল্লাহর হজ্জ অথবা উমরা পালন করে- এতদুভয়ের মাঝে তাওয়াফ করতে তার কোন দোষ নেই এবং স্বতস্ফূর্তভাবে সৎকাজ করলে আল্লাহ্ পুরষ্কার দাতা ও সর্বজ্ঞ (সূরা বাকারা ১৫৮, পৃষ্ঠা ৬৩৩, ৬৩৪, সহীহ্ মুসলিম শরীফ, সোলেমানিয়া বুক হাউস- ঢাকা, দ্রষ্টব্য)।

উল্লেখিত হাদীস অনুযায়ী দেখা যায় যে এ বিষয়ে পারস্পরিক মত পার্থক্য ও সাংঘর্ষিক ব্যাখ্যা রয়েছে। মুশারিকদের প্রচলিত রীতি ইসলামে কেন সংযোজিত হয়েছে তা অনেকের বোধগম্য নয়। কারণ ইসলাম একশ্বরবাদে বিশ্বাসী। এখানে আল্লাহ্ ছাড়া আর কারো উপসনার বিধান নাই। কিন্তু আশ্চর্য হলেও সত্য যে প্রাচীন দেবদেবীর উপসনার ঢঙ্গে আজো চালু রয়েছে সাফা-মারওয়ার মাঝে দৌড়াদৌড়ির প্রক্রিয়া। আর একেই বলা হয়েছে আল্লাহর নিদর্শন। সুতরাং, সূর করে আয়াতগুলি তেলাওয়াতে কোন ত্রুটি কারো চোখে পড়ে না। তাই এই অভিনব আয়াতটি উল্লেখ করে আমরা আল্লাহকে জানিয়ে দেই তাঁরই প্রদত্ত আয়াতের বর্ণনা। এতে করে আল্লাহ্ খুশী হন বা না হন তাতে কি যায় আসে!

আগেই বলেছি আমরা কোরআন পড়ে বোঝার চেয়ে না বুঝে তা মনোরম সুরে পড়ি আর মনে করি তাতে করে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করা হয়। কিন্তু কখনো কেউ একটু ভেবে দেখেছি সেই আয়াতসমূহ কিসের বার্তা বহন করে? আমরা সব মুখস্ত আয়াত উচ্চারণে নিজরাই আত্মতুষ্টি লাভ করি বটে তাতে আল্লাহর গৌরব তো দূরের কথা তাঁর সাথে কোন যোগাযোগ করা সম্ভব হয় না। কারণ তাতে এমন সব তথ্য ও বাচালতা রয়েছে যা দিয়ে বরং মহান আল্লাহ্ তায়ালার অসম্মান করা হয়। অবাক লাগে এতসব অপ্রসাঙ্গিক কথাবার্তা কোরআনের আয়াতে কে সংযোজন করেছে। আসুন, নিজেই তা পর্যালোচনা করে দেখি এই আয়াতটি কিসের বার্তা বহন করে।

বলছিলাম কোরআন সুমধুর সুুরে পড়ার চেয়ে তা পড়ে বোঝা উচিৎ কি আছে সেখানে আর কাকেই বা বলে চলেছি সে সব মনোমুগ্ধকর কথামালা। আমাদের বোঝা উচিৎ আল্লাহ্ মনুষ্যতুল্য নন। সুতরাং, তাঁকে যা ইচ্ছা তা দিয়ে সন্তুষ্ট করা যায় না। তিনি আমাদের  সৃষ্টি করেছেন তাঁর ইবাদত করার জন্যে, মশকারী করার জন্যে নয়। তিনি আমাদের দিয়েছেন প্রকৃত কালাম যাতে রয়েছে সত্যিকার পথ নির্দেশ।

আসুন খুঁজে দেখি তাঁর কালামের তাৎপর্য। মহান আল্লাহ্ তায়ালা আমাদের সৃষ্টি করেছেন সেরা জীব হিসেবে অথচ আমরাই করে চলেছি তাঁকে অপমান। আমরা সকলেই পাপ করেছি এবং তাঁর গৌরব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছি। আর আমাদেরকেই পাপ থেকে উদ্ধারের জন্যে তিনি পাঠিয়েছিলেন জগতে তাঁর রুহানী পুত্র ঈসা আল-মার্সীহ কে দু’হাজার বছরেরও আগে। তিনি মানুষ বেশে মানুষের মাঝে জন্ম গ্রহণ করেছিলেন। তাঁর পাপহীন জীবন অতিবাহিত করেছেন আমাদের মাঝে এবং দিয়ে গেছেন খোদার কালামের তাৎপর্য। তিনি আমাদের পাপের বোঝা কাঁধে তুলে নিয়ে প্রায়ঃশ্চিত্ত করেছেন আমাদের সমূহ পাপের।

অতঃপর তিনি মৃত্যু থেকে জীবিত হয়েছেন এবং বেহেস্তে প্রবেশ করেছেন। আমরা যখন তাঁকে গ্রহণ করি আমাদের প্রভু হিসেবে, ত্রাণকর্তা হিসেবে তৎক্ষণাত ফিরে পাই মুক্তির ঠিকানা। তিনিই একমাত্র উদ্ধার করতে পারেন অন্ধকার কারাগার থেকে মুক্তির আলোতে। আজই নিরবে তাঁর কাছে সমর্পিত হন একটি ছোট্ট প্রার্থনায়।  বিশ্বাস করি আপনি আপনার প্রার্থনার উত্তর পাবেন যথাযথই।

This Post Has 3 Comments

Leave a Reply