একদিন ঈসা আল মাসীহ্ যেরিকো-র পথে যাচ্ছিলেন। সঙ্গে অনেক মানুষ তাঁর সাথে চলছিলো। পথের পাশে এক অন্ধ ভিক্ষুক মানুষের চলাচলের পদশব্দে কৌতুলবশত আশে-পাশের মানুষদের জিজ্ঞেস করলো- ভাই এটা কিসের শোরগোল? উত্তরে তারা তাকে জানালো যে ঈসা এই পথে আসছেন, সঙ্গে তাই অনেক লোকজনের সমাবেশ।
কথাটি শোনা মাত্রই সে (অন্ধ ভিক্ষুকটি) চিৎকার করে ডাকতে লাগলো- ঈসা, যীশু দায়ূদ পুত্র, আমাকে একটু দয়া করুন। ঘটনাটি নেয়া হয়েছে ইন্জ্ঞীল শরীফের লূক লিখিত সুসমাচার এর ১৮ অধ্যায় ৪১, ৪২ আয়াত থেকে। তার চিৎকারে আশে-পাশের মানুষেরা তাকে ধমকের সুরে চুপ করতে বললো। কিন্তু, তা সত্ত্বেও সে অনবরত চিৎকার করে ঈসা-মসীহে্র দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইলো।
আশ্চর্যজনকভাবে তার আর্ত-চিৎকারে ঈসা থম্কে দাঁড়ালেন এবং তার কাছে এসে জানতে চাইলেন তার চিৎকার করে ডাকার কারণটি। তিনি বললেন- তুমি কি চাও? আমি তোমার জন্য কি করতে পারি?
উত্তরে অন্ধ ভিক্ষুকটি বললো- প্রভু, আমি দেখতে চাই। সঙ্গে সঙ্গে ঈসা তাকে বললেন- ঠিক আছে তোমার বিশ্বাস তোমাকে সুস্থ করে তুলেছে। তৎক্ষণাত অন্ধ ব্যক্তিটি দৃষ্টি ফিরে পেল এবং ঈসাকে অনুসরণ করতে লাগলো। অবস্থাটি সবার চোখের সামনে ঘটে যাওয়ায় সমবেতো উৎসুক জনতা খোদার গৌরব প্রশংসা করতে লাগলো।
ঘটনাটি ঘটেছিল আজ থেকে দু’হাজারেরও বেশী বৎসর আগে। এ রকম অনেক ঘটনার বাস্তব চিত্র বর্ণিত রয়েছে কিতাবের পাতায় পাতায়। অন্ধ ভিক্ষুকটির অন্ধত্বতা কত বছরের তা আমাদের জানা নেই। তবে এটুকু পরিস্কার যে, তার দৃষ্টি সে ফিরে পেয়েছিল ঈসা আল-মাসীহ্ এর দয়ায়।
লোকটি ভাল ছিল না মন্দ ছিল তা আমাদের জানা নেই। তবে সে যে তীব্র ধমকের মাঝেও সাহসী প্রত্যাশায় মসীহ্কে ডেকেছিল সেটা বড় আশ্চর্যের বিষয়।
আপনি কি কখনো আপনার অত্যান্ত কষ্টের মাঝে তাঁকে ডেকেছেন? আপনার কি বিশ্বাস হয় না যে, তিনি আপনাকেও সুস্থ করে তুলতে পারেন কিংবা উদ্ধার করতে পারেন যে কোন বিপদ থেকে?
আপনার হয়তো বিশ্বাসের ঘাট্তি আছে, কিন্তু তাঁর দয়ার কোন ঘাট্তি নেই আপনার আমার জন্যে। তিনি সর্বদাই প্রস্তুত আমাদের কল্যাণে। একবার তাঁকে নিরবে নয়তো আর্ত-চিৎকারে ডেকে দেখুন তিনি তাকান কিনা আপনার দিকে!